কবে শেষ হতে পারে ওমিক্রন

গত বছর পুজোর সময় থেকেই ঘোষিত হয়েছিল, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আবার উঠতে পারে করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। সেই ঘোষণাকে সত্যি করে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। ঠিক যখন মনে হয়েছিল যে করোনার দাপট এবার শেষের পথে, ঠিক সেই সময় এক নতুন প্রজাতির আবির্ভাব হল, ওমিক্রন। গত বছর ডিসেম্বর থেকে দাপট দেখানো শুরু করা ওমিক্রন এখন গোটা বিশ্বের কাছে নতুন ত্রাস। প্রায় মাসখানেক হতে চললেও এই প্রজাতিকে নিয়ে উদ্বেগ কমছে না, বরং দিন দিন বাড়ছে। ভ্যাকসিন চললেও ওমিক্রন সংক্রমণ রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। তাহলে কতদিন আরও চলবে এই সংক্রমণ? কতদিন আতঙ্ক থাকবে ওমিক্রন নিয়ে? আপাতত এই ইস্যুতে কিছু ইঙ্গিত মিলেছে।

ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সস্টিটিউট (আইএসআই)-এর একদল গবেষক দাবি করেছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে এই করোনার দাপাদাপি। অর্থাৎ ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত আরও প্রায় দুই মাস সহ্য করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফেব্রুয়ারীর পর মার্চ বা এপ্রিলের শুরুর দিকে তলানিতে ঠেকবে করোনা সংক্রমণ বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়। পাশাপাশি এক চরম অনুমান-বার্তাও দেওয়া হয়েছে গবেষকদের তরফে। দাবি করা হয়েছে, ভারতের দৈনিক সংক্রমণ যখন শীর্ষে থাকবে তখন প্রতিদিন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। এই উপসংহারে আসতে গিয়ে গবেষকরা তিনটি কল্পিত পরিস্থিতির ভিত্তি নিয়েছেন। এক, যদি জনসংখ্যার ১০০ শতাংশই সংক্রমিত হন। দুই, যদি জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ সংক্রমিত হন। তিন, যদি ৩০ শতাংশ জনসংখ্যা সংক্রমিত হয়।

এদিকে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর-এর সাইন্টিফিক অ্যাডভাইজারি কমিটি অফ দ্যি ন্যাশেনাল ইন্সটিটিউট অফ এপিডেমোলজির চেয়ারপার্সন জয়প্রকাশ মুলিয়িল দাবি করেছেন, ওমিক্রন হলে যে আর করোনা হবে না তার কোনও মানে নেই। তবে ওমিক্রন হলে তার অ্যান্টিবডি শরীরে থেকে যেতে পারে সারা জীবন। তাঁর কথায়, টিকা নেওয়ার আগে দেশের অধিকাংশ মানুষের করোনা হয়ে গিয়েছিল এবং তার জন্য অধিকাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি আগে থেকেই ছিল। ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ তাদের জন্য বুস্টার হিসেবে কাজ করেছে। সেই কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বেড়েছে ওমিক্রনের বেলায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *