বিগত বেশ কয়েক দিন ধরেই জল্পনা চলছে নতুন মুখ্যমন্ত্রীর নাম নিয়ে৷ ‘২০৩৬ সাল পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদে শপথ নেমেন অভিষেক৷’ তৃণমূল কংগ্রেসের তৃতীয় সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তির দিন ফেসবুক পোস্টে এমনই দাবি করে শোরগোল ফেলেছিলেন কুণাল ঘোষ৷ এর পর একই ভবিষ্যদ্বাণী করেন অপরূপা পোদ্দার৷ এদিন অসমে সফররত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয় তৃণমূলের উত্তরাধিকার কে?
জবাবে অভিষেক বলেন, দল আমাকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে৷ আমি সেই দায়িত্ব পালন করছি৷ বাংলায় সার্বিকভাবে প্রত্যেকটি বুথে, প্রত্যেকটি বিধানসভায়, ব্লকে, জেলায় আরও শক্তিশালী করে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূল কংগ্রেসকে পৌঁছে দেওয়াই লক্ষ্য৷ যাঁরা এ কথা বলছেন, এটা একান্তই তাঁদের অভিমত৷ এই বিষয়ে তাঁর কিছু বলার নেই৷ অভিষেক এও বলেন, ‘‘আগামী দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতবর্ষকে পথ দেখাবেন, সেটা আমরা সবাই চাই৷ কিন্তু এই মুহূর্তে আমার একমাত্র লক্ষ্য হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসকে ৮-১০টি রাজ্যে প্রতিষ্ঠা করা৷’’
দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবেই তিনি এই কাজটি করতে চান বলে জানা অভিষেক৷ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদকের কথায়, ‘‘বিভিন্ন জায়গায় মানুষ দু’হাত তুলে আমাদের আশীর্বাদ করছে৷ অসমেও কর্মীদের মধ্যে স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ্য করেছি৷ ত্রিপুরা, অসম কিংবা মেঘালয়, যেখানেই তৃণমূল কংগ্রেস যাবে, মানুষের কাছে আমাদের বক্তব্য পৌঁছে দেব৷ মানুষ ইতিবাচক সাড়া দেবে বলেই আমরা আশাবাদী৷ কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে৷’’
এদিন কংগ্রেসকেও একহাত নেনে তিনি৷ অভিষেক বলেন, কংগ্রেস টুইটার-ফেসবুকের পার্টি হয়ে বসে রয়েছে৷ মোবাইল ফোনে বসে ভারত জয় সম্ভব নয়৷ কংগ্রেসের জন্য অনন্তকাল অপেক্ষা করে বসে থাকা সম্ভব নয়৷ বিজেপি’র বিরুদ্ধে লড়াই করার প্ল্যাটফর্ম খুঁজে পেতেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসেছেন সুস্মিতা দেবের মতো নেতা নেত্রীরা৷