গাজরের ক্ষেত্রে কী বলেন পুষ্টিবিদরা?

শরীরকে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মরসুমি ফল এবং শাক-সব্জি গাজর ভরপুর পুষ্টিগুনে সমৃদ্ধ। শীতকালে বাজারে পাওয়া সহজলভ্য সবজি হল গাজর যার মধ্যে আছে প্রচুর পুষ্টিগুন। শীতকালীন ‘সুপারফুড’ হল গাজর।পা থেকে মাথা পর্যন্ত প্রতিটি অঙ্গের জন্য প্রয়োজনীয় সবজি হল এই গাজর।সমস্যা থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণ, ডিম্বাশয়ের ক্যানসার, সিস্ট-এর মতো সমস্যাগুলিকেও নিয়ন্ত্রনে রাখে গাজর।

বিশেষজ্ঞদের মতে গাজর ভাল করে ধুয়ে, কেটে স্যালাড হিসাবে খেলে তার মধ্যে থাকা ‘ফ্যালক্যারিনল’ পুরো মাত্রায় পাওয়া যায়। অন্য দিকে তাপের সংস্পর্শে এলে গাজরের মধ্যে থাকা ‘বিটা-ক্যারোটিন’-এর পরিমাণ বাড়ে যা চোখ এবং চুলের জন্য বিশেষ ভাবে উপকারী। গাজরের রস খেতে চাইলে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।অন্ত্রের কোনও সমস্যা থাকলে গাজর কাঁচা না খাওয়াই ভাল।

‘বিটা-ক্যারোটিন’ এবং ‘ক্যারোটিনয়েড’ সমৃদ্ধ গাজর অন্ত্রে ছত্রাকঘটিত যে কোনও সংক্রমণ রুখতে সক্ষম।গাজরে থাকা ‘ফ্যালক্যারিনল’ জরায়ু বা ডিম্বাশয়ের ক্যানসার, সিস্ট, ফাইব্রয়েডস-এর মতো সমস্যাগুলিকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে।গাজরে থাকা প্রাকৃতিক কোলাজেন, যা শরীরে নতুন কোষ তৈরিতে এবং ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *