বেকারত্বের সংখ্যা শীর্ষে ছিল গত মাসে

বিগত দু বছর সময় ধরে কারণে সংক্রমনের কোপে লকডাউন হয়েছে একাধিকবার৷ যতবারই দেশে সংক্রমণ মাথাচাড়া দিয়েছে ততবারই শুরু হয়েছিল লকডাউন৷ যার ধাক্কায় কাজ হারিয়েছিলেন লাখো মানুষ৷ সঙ্গীন হয়ে উঠেছিল অর্থনৈতিক অবস্থা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়৷ প্রথম ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই এসেছিল দ্বিতীয় ঢেউ৷ আর এবার শুরু হয়ে গিয়েছে তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কা৷ কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার যে বিশেষ পরিবর্তন হয়নি তা স্পষ্ট হয়ে গেল বেকারত্বের পরিসংখ্যানে৷ ২০২১-এর ডিসেম্বরে দেশে বেকারত্বের হার ৭.৯ শতাংশ। যা গত চার মাসের মধ্যে ছিল সর্বোচ্চ। 

গত অগাস্ট মাসে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৮.৩ শতাংশ। পরবর্তী ৩ মাসে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও ডিসেম্বরে ফের বাড়ে বেকারত্বের হার৷ পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ার আগেই চো রাঙাতে শুরু করেছে করোনার নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন৷ আগামিদিনে বেকারত্বের হার আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ওয়াকিবহাল মহল। ‘‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ তথা সিএমআইই বেকারত্বের নতুন তথ্যটি তুলে ধরেছে৷ সংস্থার কর্তা মহেশ ব্যাস এক বলেন, ‘‘অর্থনীতিক পরিস্থিতি চাকরিপ্রার্থীদের কাজের সুযোগ করে দিতে পারেনি। কর্মসংস্থান বাড়লেও তা চাকরিপ্রার্থী মানুষের তুলনায় অনেকটাই কম। এর জন্যেই বেকারত্বের হার বাড়ছে।” 

ওই সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার ৯.৩ শতাংশ। অথচ সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে তা ছিল যথাক্রমে ৮.৬২ শতাংশ, ৭.৩৮ শতাংশ ও ৮.২১ শতাংশ। অন্যদিকে গ্রামীণ এলাকায় সেপ্টেম্বর মাসে বেকারত্বের হার ছিল ৬.০৬ শতাংশ। অক্টোবরে তা বেড়ে হয় ৭.৯১ শতাংশ। তবে নভেম্বরে তা খানিক কমে ৬.৪৪ শতাংশ হয়েছিল। কিন্তু ডিসেম্বরে ফের লাফ দিয়ে ৭.২৮ শতাংশে পৌঁছয়৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *