মারিউপোলর বাসিন্দাদের উদ্ধার নিয়ে চিন্তা বাড়ছে ইউক্রেনের

প্রায় দু মাসের কাছাকাছি পৌছালো যুদ্ধের সময়সীমা। ইতিমধ্যেই রাশিয়া এই শহরকে সরাসরি ‘স্বাধীন’ বলে ঘোষণা করে দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সাফ জানিয়েছেন, এই শহর মুক্ত করতে তারা সফল। ‘পরাধীন’ সেই মারিউপোল নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ইউক্রেন প্রশাসন। সেখানে আটকে অন্তত এক লক্ষ বাসিন্দা, তাদের কী হবে? বাসিন্দাদের সরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে জেলেনস্কি সরকার। আগেই সেখানের সকল বাসিন্দাদের শহর ছাড়ার নির্দেশ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখনও সম্পূর্ণভাবে সকলে ছাড়তে পারেনি মারিউপোল।

রাশিয়ার ক্রমাগত হামলায় প্রায় ধ্বংসস্তুপ হয়ে গিয়েছে এই শহর। টিভি নেই। ইন্টারনেট নেই। কোথায় কী হচ্ছে তা যেন কিছুই জানে না বাসিন্দারা। আর এটাই সবথেকে সমস্যা তৈরি করছে তাদের উদ্ধার কাজে। অন্যদিকে রয়েছে রাশিয়ান সেনার আতঙ্ক। শহরের একাধিক জায়গায় উদ্ধারকারী বাস পাঠাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু ভয়ে কেউ উঠছে না। যদিও সম্প্রতি যুদ্ধ বিরতি ঘোষণা করেছে পুতিন বাহিনী। জানান হয়েছে, ইউক্রেনীয় সেনা ও বাসিন্দাদের বেরোনোর সুযোগ দেওয়া হবে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইউক্রেন কতজন বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে পারে তাই দেখার।

ইউক্রেন সরকার আগে থেকেই জানিয়েছিল যে, মারিউপোলের বাসিন্দাদের অন্যত্র সরানোর কাজ তারা করেছে। কারণ ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে রুশ বাহিনী কী অত্যাচার করেছে তা সকলের জানা। মহিলা, শিশুদের ধর্ষণ করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে নৃশংসভাবে। তাই যারা সেখানে বেঁচে ছিল তাদের সকলকে সেখান থেকে সরানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তবে মারিউপোল নিজেদের দখলে রাখতে পারেনি ইউক্রেন। রাশিয়া বাহিনী তার দখল নিয়েছে আগেই।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *