ভয়াবহ আকার ধারণ করছে তুরস্ক

ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। ভূমিকম্পে গিয়েছে হাজার হাজার প্রান, ছারখার হয়ে গিয়েছে তুরস্ক। ক্রমাগত বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। তিনদিন অতিক্রম করে গেলেও, এখনও ভেসে আসছে আর্তনাদ৷ উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সদস্যরা৷ তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) বলছে, প্রাথমিক ভাবে যা মনে করা হয়েছিল, তার আট গুণ বাড়তে পারে প্রাণহানি। সে ক্ষেত্রে ১৯৯৯-এর বিপর্যয়কেও হার মানাবে ২০২৩৷ ১৯৯৯ সালে উত্তর আনাতোলিয়া চ্যুতিতে এমনই এক ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন।

তীব্র কম্পন অনুভূত হয়৷ ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল দক্ষিণ তুরস্কের গাজিয়ানতেপ প্রদেশের পূর্ব দিকে নুরদাগি শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার পূর্বে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার গভীরে। রিখটার স্কেলের কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮। প্রথম কম্পনের ১১ থেকে ১৫ মিনিটের ব্যবধানে দ্বিতীয় বার কম্পন অনুভূত হয় লেবানন, সিরিয়া এবং সাইপ্রাসের বিভিন্ন অংশে। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের তীব্রতা ছিল ৬.৭।

এরপর গত কাল সিরিয়া সীমান্তের কাছে তুরস্কের দক্ষিণ প্রান্তে পরপর তিনটি ভূমিকম্প হয়৷ যা কার্যত এই অঞ্চলকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে৷ রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৮, ৭.৬ এবং ৬.০৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র কম্পন শক্তির কারণেই এতো বেশি ধ্বংসযজ্ঞ হয়নি। যখন তুরস্কের মাটি কেঁপে ওঠে, তখন ভোর৷ অধিকাংশ মানুষই ছিলেন ঘুমের ঘোরে। ফলে তাঁরা বেরিয়ে আসার সুযোগ পাননি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *