বায়োফুয়েল ব্যবহারের মাধ্যমে সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য টিকেএম-এর অঙ্গীকার

টয়োটা কির্লোস্কর মোটর (টিকেএম) ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিরপেক্ষতা অর্জনের বিস্তৃত কৌশলের অংশ হিসেবে বায়োফুয়েল গ্রহণের বিষয়টিকে সমর্থন করে অগ্রগতির জন্য তার অঙ্গীকারকে আর দৃঢ় করছে। টয়োটার বৈশ্বিক পরিবেশগত লক্ষ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ২০৩৫ সালের মধ্যে ম্যানুফ্যাকচারিং কাজকর্মে নেট জিরো কার্বনে পৌঁছানোর লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে। ভারতের ক্রমবর্ধমান শক্তির চাহিদা ও জীবাশ্ম জ্বালানির উপর নির্ভরশীলতাকে মেনে নিয়ে টিকেএম বিদ্যুতায়ন এবং জৈব জ্বালানির মতো অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন শক্তির উত্সগুলিতে রূপান্তরের গুরুত্বের উপর জোর দিচ্ছে।

বিশেষত আখ ও বায়োমাসের মতো পুনর্নবীকরণযোগ্য উত্স থেকে ভারতের ইথানল উৎপাদনের সম্ভাবনা কার্বন নির্গমন হ্রাস, শক্তি সুরক্ষা বৃদ্ধি ও কৃষি অর্থনীতিকে সমর্থন করার একটি উল্লেখযোগ্য সুযোগ এনে দিয়েছে। ভারতের ইথানল ব্লেন্ডিং কর্মসূচির সাফল্য, যা ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে পেট্রোলের সঙ্গে ১৫.৯০% ব্লেন্ডিং অর্জন করেছে, তা ২০২৫ সালের মধ্যে ২০% ইথানল ব্লেন্ডিংয়ের লক্ষ্যের দিকে দেশের অগ্রগতিকে তুলে ধরছে।

জ্বালানী দক্ষতা উন্নত করতে এবং নির্গমন হ্রাস করতে ফ্লেক্স ফুয়েল ভেহিকেল (এফএফভি) প্রযুক্তি এবং ইলেক্ট্রিফায়েড ফ্লেক্স ফুয়েল ভেহিকেল (এফএফভি-এসএইচইভি) প্রবর্তন করে টিকেএম এই রূপান্তর পর্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। টিকেএম-এর কান্ট্রি হেড ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মিঃ বিক্রম গুলাটি ভারতের সাসটেইনেবল এনার্জি ফিউচার-এর মূল উপাদান হিসেবে জৈব জ্বালানী, বিশেষত ইথানলের পরিবেশগত ও অর্থনৈতিক সুবিধার উপর জোর দিয়েছেন। সিয়াম (SIAM) আন্তর্জাতিক সম্মেলনে টিকেএম-এর অংশগ্রহণ ভারতে একটি শক্তিশালী বায়োফুয়েল ইকোসিস্টেম-এর বিকাশ, উদ্ভাবনকে উত্সাহিত করা এবং ‘মোবিলিটি ফর অল’ নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতিকে আরও দৃঢ় করেছে।