বদলেছে আবহাওয়া, চলতি মাসের মাঝা মাঝি সময় থেকে বলতে গেলে প্রায় উধাও শীত। তাপমাত্রার পাশাপাশি রাজ্য জুড়ে বাড়ছে গরম। বাংলায় গরমের আঁচ পড়তেও শুরু করেছে। এই পরিস্থিতে এল নিনো আতঙ্ক। এর প্রভাবে গোটা বিশ্বের তাপমাত্রায় বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এল নিনো এলে প্রভাব পড়বে ভারতেও। এর প্রভাবেই চলতি বছর বর্ষায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কম হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর বৃষ্টি কম হলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে কৃষিকাজ।
এল নিনো হল একটি স্প্যানিশ শব্দ৷ এর অর্থ ছোট্ট বালক বা যীশুর সন্তান। পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরের পেরু ইকুয়েডর উপকূল বরাবর কোনও কোনও বছর ডিসেম্বর মাসে এক প্রকার দক্ষিণ মুখী উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের প্রবাহ লক্ষ্য করা যায়, তাকেই বলে এল নিনো৷ গড়ে প্রায় ৪ বছর অন্তর এল নিনো আসে।
এল নিনোর আগমনের সময়ে পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে এবং এশিয়ার বাইরের জলভাগ শীতল হয়ে পড়ে। এর ফলে ভারত মহাসাগর, ইন্দোনেশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় উচ্চ চাপ বৃদ্ধি পায়। এর ফলে এল নিনোর বছরে ভারতে মৌসুমী বায়ুর দ্বারা বৃষ্টিপাত অনেকটাই হ্রাস পায়। এর আগে ২০১৫ সালে এল নিনোর দাপটে প্রচণ্ড গরম পড়েছিল।