নতুন সংক্রমন ওমিক্রনে আক্রান্তদের মধ্যে দেখা যাচ্ছে এই উপসর্গগুলি

বিগত কয়েক মাসের আশঙ্কাকে সত্যি করে বিশ্বজুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনার তৃতীয় ঢেউ৷ ডেল্টাকে পিছনে ফেলে দাপট দেখাচ্ছে ওমিক্রন৷ কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে রোগী উপসর্গহীন৷ সে কারণেই বাড়ছে গোষ্ঠী সংক্রমণ৷ তাহলে কী ভাবে বোঝা যাবে রোগী ওমিক্রন আক্রান্ত?  ব্রিটেনের গবেষকরা ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে দুটি উপসর্গ খুঁজে পেয়েছেন৷ যা সাধারণ সংক্রমণের চেয়ে কিছুটা আলাদা৷ 

লন্ডনের কিংস কলেজের জেনেটিক এপিডেমিওলজির অধ্যাপক টিম স্পেকটর জানাচ্ছেন, শুধু সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি দিয়ে ওমিক্রনকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে না৷ ওমিক্রনের উপসর্গ অনেকটাই আলাদা। দেখা যাচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে বমি বমি ভাব রয়েছে৷ রোগীদের খিদে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ সেই সঙ্গে করোনার সাধারণ উপসর্গ হিসাবে জ্বর, গলা ব্যাথা বা মাথা ব্যাথার মতো উপসর্গগুলিও দেখা যাচ্ছে ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে৷ 

অধ্যাপক টিম স্পেকটর বলেন, “অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বমি বমি ভাব, হালকা জ্বর, গলা ব্যাথা ও মাথা ব্যাথার মতো উপসর্গ লক্ষ্য করা গিয়েছে।” ছাড়াও ওমিক্রন আক্রান্তদের মধ্যে ক্লান্তিভাব, সর্দি-কাশি ও নাক থেকে জল পড়ার মতো উপসর্গগুলিও দেখা গিয়েছে। 

গত সপ্তাহে কোষ বিশ্লেষক সংস্থা ইনসেলডিএক্স সংস্থার কর্মী ডঃ ব্রুস প্যাটারসন জানান, যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হচ্ছেন, সাধারণত তাঁরা স্বাদ-গন্ধ হারাচ্ছেন না৷ করোনার অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের সঙ্গে এখানই ওমিক্রনের পার্থক্য। তাঁর কথায়, প্যারাইনফ্লুয়েঞ্জার সঙ্গে ওমিক্রনের অনেটাই মিল রয়েছে৷ অপর এক গবেষক জানাচ্ছেন, ওমিক্রন সংক্রমণ চিহ্নিত করার সবথেকে বড় উপসর্গ হল রাত্রে ঘুমের সময়ে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া।

গবেষকরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীদের রাত্রিকালীন ঘাম এতটাই বেশি হয় যে শরীর থেকে প্রায় সমস্ত জল বের হয়ে যায়। একটাই ঘাম হয় যে, রাতে উঠে রোগীদের অনেক সময় জামা-কাপড় বদলের প্রয়োজনও হতে পাড়ে৷ উল্লেখ্য, ২০২১-এর ২৪ নভেম্বর প্রথম ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ মেলে দক্ষিণ আফ্রিকায়৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *