বিগত বেশ কিছুদিন ধরে চলছে জল্পনা, কিন্তু কোনোভাবেই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। শুনানির দিন পেছোচ্ছে একের পর এক। বিতর্ক চলছে ঝলদা পুরসভা নিয়ে, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চ যে রায় দিয়েছিল সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। বিচারপতি অমৃতা সিনহা ঝালদা পুরসভার ডেপুটি চেয়ারম্যান পূর্ণিমা কান্দুকে ১৭ ফেব্রু়ায়ারি পর্যন্ত চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা রাজ্য সরকারের। এদিকে গোটা ইস্যুতে সরকারকে তুলোধনা করেছেন খোদ পূর্ণিমা।
চেয়ারম্যান পদে বসা ঝালদা পুরসভার প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা বলছেন, বাংলার বর্তমান সরকার কতটা ক্ষমতালোভী তা বোঝাই যাচ্ছে। একটা পুরসভার ক্ষমতা দখলের জন্য কতটা নীচে নামছে এরা। নাহলে বারবার ডিভিশন বেঞ্চে যাবে না। এছাড়া নিজের স্বামীর মৃত্যুর জন্য রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রকেই দায়ী করেছেন তিনি।
কয়েক দিন আগেই পুরপ্রধান হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন ঝালদা পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শীলা চট্টোপাধ্যায়। শীলাকে সরিয়ে তাঁর জায়গায় ঝালদা পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর সুদীপকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। কিন্তু তিনিও পদে টিকতে পারেননি। কলকাতা হাইকোর্ট মৃত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দুকে এই পদে বসিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি। তবে তার আগেই ডিভিশন বেঞ্চে রাজ্য।