খুশির খবর শিক্ষকদের জন্য। এবার শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় তাঁর রায়ে জানিয়েছেন, শিক্ষকদের বাড়ি ও স্কুলের দূরত্বই অন্যতম বিবেচিত বিষয়। দূরত্বের পরে বাকি বিষয়গুলি বিবেচনায় আসতে পারে।
অনেক শিক্ষকদের বাড়ি থেকে স্কুলের দূরত্ব প্রচুর। সেই কারণে বদলির আবেদন করেন শিক্ষক- শিক্ষিকারা। কিন্তু সেই আবেদন বেশি ভাগ ক্ষেত্রেই গ্রাহ্য হয় না। এ নিয়ে সমস্যায় পড়ে যান শিক্ষক শিক্ষিকারা। তবে এবার শিক্ষকদের বদলির ক্ষেত্রে বড় রায় কলকাতা হাইকোর্টের। এহেন রায়ে খুশি শিক্ষক মহল।
এমনই এক শিক্ষিকা আদিতি রায়। প্রায় ১০০ কিমি দূরে কাকদ্বীপের ঢোলাহাট দক্ষিণ কাশিয়াবাদ শিক্ষানিকেতনে চাকরি করেন তিনি। ২০১৯ সাল থেকে অসুস্থ অন্যদিকে দূরত্ব, ফলে চাকরি চালিয়ে যেতে সমস্যায় পড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। অগ্যতা বাড়ির কাছে স্কুলে পোস্টিং চেয়ে বদলির জন্য আবেদন করেছিলেন।
কিন্তু ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে বদলির আবেদন খারিজ করে দেয় শিক্ষা দফতরের কমিশনার। এরপরই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অদিতি। শিক্ষাদফতরের সেই নির্দেশকে খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। এমনকী ৪ সপ্তাহের মধ্যে বাড়ির কাছের স্কুলে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয় কমিশনকে । উৎসশ্রী পোর্টালের সহায়তায় তিনটি স্কুলের নাম দেবেন ওই শিক্ষিকা।তার পরিপ্রেক্ষিতে তার নতুন স্কুলে বদলি হবে।