ইউক্রেনকে সহযোগিতা করলো আমেরিকা

গোটা একটা মাস অতিক্রম করলেও অবিরাম গতিতে চলছে যুদ্ধ৷ রাশিয়ার আক্রমণে বিধ্বস্ত ইউক্রেন৷ শহরগুলি যেন মৃত্যুপুরী৷ রাশিয়ার আগ্রাসী আক্রমণের সামনেও কিন্তু মাথা নত করেনি কিয়েভ৷ সাধ্যমত জবাব দিয়ে গিয়েছে তারা৷ আমেরিকা বা ইউরোপের দেশগুলি সরসরি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সামিল না হলেও, তাদের অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করে চলেছে৷ এবার ইউক্রেনের হাতে বিশেষ এক অস্ত্র তুলে দিল আমেরিকা৷ যা বিশ্বে সামরিক অস্ত্রের ইতিহাসে নবতম সংযোজন৷

কী সেই অস্ত্র? সেটি হল ড্রোন। বেশ কিছু ড্রোন রয়েছে যা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম। আবার কিছু ড্রোন নিজেই ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে কাজ করে থাকে। ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে কাজ করা এই ড্রোনগুলিকে বলা হয় ‘কামিকাজে’ বা আত্মঘাতী ড্রোন৷ কিয়েভ-ক্রেমলিন সঙ্ঘাতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সেই অস্ত্রই ইউক্রেনকে সরবরাহ করল আমেরিকা৷ এই ড্রোনগুলির আরও একটি নাম রয়েছে৷ সেটি হল ‘সুইচব্লেড ড্রোন’৷ এগুলি মানববিহীন ছোট ছোট বিমান৷ যেগুলি বিস্ফোরক বোঝাই থাকে৷

উড়ান শুরু করার সময় এদের ডানাগুলি ব্লেডের মতো বেরিয়ে আসে৷ সেকারণেই এগুলিকে ‘সুইচব্লেড ড্রোন’ বলা হয়ে থাকে। লক্ষ্যবস্তুকে সরাসরি নিশানা করতে সক্ষম আত্মঘাতী ‘কামিকাজে ড্রোন’। একটি ট্যাঙ্ক মুহূর্তে গুঁড়িয়ে দেওয়া বা শত্রু বাহিনীর একটি দল নিমিষে খতম করতে সক্ষম এই ড্রোন। তবে এগুলি এক বারই ব্যবহারযোগ্য এবং আমেরিকার অন্য ড্রোনগুলির চেয়ে দামেও অনেকটা সস্তা।

এই ‘কামিকাজে ড্রোন’-টি তৈরি করেছে এরোভায়রনমেন্ট সংস্থা। এই ড্রোনটির মূলত দু’টি আকার রয়েছে৷ সুইচব্লেড ৩০০ এবং সুইচব্লেড ৬০০। সুইচব্লেড ৩০০-র ওজন প্রায় আড়াই কিলোগ্রাম। অপেক্ষাকৃত হালকা এই ড্রোনটি টানা ১৫ মিনিট উড়তে সক্ষম৷ এটি আকারে এতটাই ছোট যে একটি পিঠ ব্যাগের মধ্যেই বহন করা যায়৷  অন্যদিকে, সুইচব্লেড ৬০০ ড্রোনটি আকার এবং ওজনগত দিক থেকে তুলনামূলকভাবে বড়। এই ড্রোনের ওজন প্রায় ৫০ পাউন্ড বা প্রায় সাড়ে ২২ কিলো। এই ড্রোন কিন্তু টানা ৪০ মিনিট পর্যন্ত উড়তে পারে। এটি ‘ভ্রাম্যমাণ মিসাইল’ হিসেবেও পরিচিত। শত্রুপক্ষের কামান ধ্বংস করতে অত্যন্ত সফল এটি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *