দেশে সবে মাত্র কিছুটা হলেও আটকানো গেছে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ। ক্রমাগত রোজকার ওঠা পড়ার মাঝে কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে সংক্রমণ। এরই মাঝে অসন্ন্য সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউয়ের আতঙ্ক। এই তৃতীয় ঢেউয়ে সব চেয়ে বেশি আক্রান্ত হবে শিশুরা। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি সমান তালে বাড়বে তাদের ঝুঁকি। সোমবার এই সতর্কবার্তা দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আওতাধীন ন্যাশনাল ইনস্টটিটিউট অফ ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট। প্রধানমন্ত্রীর দফতরে রিপোর্ট জমা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের গঠিত এই কমিটি। রিপোর্টে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ের সময়ে বিপুল সংখ্যক শিশু করোনায় সংক্রমিত হলে তাদের চিকিৎসার জন্য যত সংখ্যক চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং পরিকাঠামো প্রয়োজন, তা নেই দেশে।
দেশে প্রাপ্তবয়স্করা পুরোদমে টিকা পেলেও শিশুদের টিকাকরণ এখনও গবেষণার পর্যায়ে থাকায় তা নিয়ে আশঙ্কা রয়েছেই। তার মাঝে বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের দাবি, শিশুরা করোনা আক্রান্ত হলেও তাদের শরীরের গুরুতর প্রভাব পড়বে না। তবে তাদের শরীর থেকেও অন্যের শরীরে ছড়াবে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে শিশুদের মধ্যে, বিশেষত কোমর্বিডিটি থাকা বাচ্চাদের মধ্যে সংক্রমণ মোকাবিলায় ও চিকিৎসা-পরিকাঠামোর উন্নতিতে কী কী পদক্ষেপ জরুরি, সেই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ওই রিপোর্টে। পাশাপাশি কোমর্বিডিটি থাকা শিশুদের টিকাকরণে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে, কেন্দ্রকে এই পরামর্শই দিল বিশেষজ্ঞদের ওই কমিটি।
বলা হয়েছে, কিছুটা বাড়ির মতো করেই, শিশুদের জন্য কোভিড ওয়ার্ড গড়ে তোলা যেতে পারে হাসপাতালে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে দ্রুত শিশু-চিকিৎসক নিয়োগে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গেই শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি নিয়েও ভাবনা চিন্তা করতে হবে। নজর দিতে হবে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুদের প্রতি।