বাড়তে থাকা করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। রাজ্য সরকার করোনা বিধি ঘোষণা করে পুনরায় স্কুল বন্ধ রেখেছে। কিন্তু ছাড়ের সঙ্গে মেলা এবং ২০০ জন নিয়ে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। সরকারের এহেন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন চালুর দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি ‘সারা বাংলা প্রতিবাদ সপ্তাহ’ এবং ‘চলো স্কুলে পড়াই’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে তাদের তরফে।
বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ প্রায় ২ বছর বিদ্যালয় বন্ধ রাখার ফলে ব্যাপক পরিমাণে স্কুলছুট হচ্ছে। এমনকি বহু ছাত্র-ছাত্রী অক্ষর চিনতেও ভুলে গেছে। যা ইতিমধ্যেই সংবাদে প্রকাশিত। এই সমস্যা নিরসনে সরকারের কোনো পরিকল্পনা নেই বলেই অভিযোগ। শিশুদের পুরোপুরি দু’বেলার পুষ্টিকর খাদ্য, পাঠদানের ধারাবাহিকতার কোনো সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা কোনো কিছুই নেই বলেও জানান হচ্ছে। এই সময় আবার শিক্ষকদের কেবলমাত্র পাঠদান বহির্ভূত কাজ করানো হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন তিনি। সেই প্রেক্ষিতেই করোনার অজুহাত দূরে রেখে অবিলম্বে প্রাথমিক স্তর থেকে পঠন-পাঠন চালু করার দাবি তোলা হচ্ছে তাদের তরফে। আর তার জন্যই এই সপ্তাহ ‘প্রতিবাদ সপ্তাহ পালন’ হিসেবে পালন করছেন তারা, একই সঙ্গে ‘চলো স্কুলে পড়াই’ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে।
এক বিবৃতিতে এই সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দ হাণ্ডা আরও অভিযোগ করে বলেছেন, রাজ্য সরকার করোনা সংক্রমণের অজুহাতে স্কুল বন্ধ রেখে বাস্তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পথেই প্রথাগত শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে অনলাইন শিক্ষাকে স্থায়ীভাবে চালু করতে চাইছে। ফলে শিক্ষা পুরোপুরি অর্থ নির্ভর হয়ে উঠবে এবং স্কুল ছুট বাড়বে ব্যাপকভাবে, বলে মনে করছেন তিনি।