ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে কড়া নির্দেশ রাজ্যের

বেশ কিছুদিন আগেই ইয়াসের তান্ডবে তছনছ হয়েছে অনেক কিছু। তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলা। এই পরিস্থিতিতে আগের বারের আমফানের থেকে শিক্ষা নিয়ে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের সরাসরি ত্রাণ পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছিল দুয়ারে ত্রাণ প্রকল্পের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের অ্যাকাউন্টে ক্ষতিপূরণ পৌঁছে দেওয়ার কাজ। ৭ তারিখের মধ্যে সব ক্ষতিগ্রস্তের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর কথা থাকলেও তা করা সম্ভব হয়ননি। এবার এই আভহে বাকি ক্ষতিগ্রস্তের অ্যাকাউন্টে আগামী শুক্রবারের মধ্যে ক্ষতিপূরণের টাকা পাঠাতে হবে নির্দেশ দিল নবান্ন।

ইতিমধ্যেই দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ দুয়ারে ত্রাণে ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়ে গিয়েছেন। তবে অনেক জেলাতে ঘূর্ণিঝড়ের পরেও আবহওয়া ভআলো না থাকায় আবেদনপত্র খতিয়ে দেখার কাজ ব্যাহত হয়েছে। আর তাই নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবাইকে ক্ষতিপূরণ পাঠানো সম্ভব হয়নি। তবে এবার দ্রুত যাতে সবাই ত্রাণের টাকা পান, সেদিকে নর দিল রাজ্য। ত্রাণ বণ্টনে কোও ফাঁক রাখতে চাননি মুখ্যমন্ত্রী।

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কবলে বেশ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। যশ বিদায় নিতেই বিপর্যস্ত এলাকার বাসিন্দাদের দুয়ারে ত্রাণ পৌঁছে দেবে সরকার। এই কাজের জন্য তাঁর সরকার ১ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করে সরকার। প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ক্যাম্প করে আবেদন গ্রহণ করেন সরকারি আধিকারিকরা। আবেদন সরাসরি চলে যায় জেলাশাসকের দফতরে। জেলাশাসক এই তালিকা যাচাই করেন বিডিওদের মাধ্যমে। ৩ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলিতে আবেদন জমা নেওয়া হয়। এরপর চলে যাচাইয়ের কাজ। ৩১ জুন পর্যন্ত এই সমস্ত আবেদনপত্র যাচাই করার কাজ চলে। তবে অনেক জায়গায় যাচাইয়ে দেরি হওয়ায় কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্তের অ্যাকাউন্টে এখনও যায়নি ক্ষতিপূরণের টাকা। সেই ক্ষতিগ্রস্তরা যাতে দ্রুত টাকা পান, সেদিকেই নজর দিলেন মমতা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *