তৃতীয় ঢেউয়ের আগে সবরকম সতর্কতা অবলম্বন করতে চাই রাজ্য সরকার

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত দেশ। প্রথম ঢেউয়ের থেকে দ্বিতীয় ঢেউয়ে আরও নাজেহাল হয়েছে দেশবাসী। রাজ্যেও তার প্রভাব পড়েছিল ভালোই। তবে এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলা। বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরেই রাজ্যের করোনা ভাইরাস সংক্রমণ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে এসেছে। তবে এই পরিস্থিতির ওপর আবার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। এই কারণে রাজ্য সরকার এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। আজ রাজ্যের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর নবান্ন তরফে জানানো হয় ২৫০টি মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন তৈরি করা হয়েছে।

রাজ্যে বাড়ানো হয়েছে ১০ হাজার জেনারেল বেড এবং ৩৫০ টি এসএনসিইউ। অনেক জেলায় একশোর নীচে নেমেছে কেস। সার্বিকভাবে রাজ্যে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে বাড়বে আইসিইউ বেডের সংখ্যা। ১,৩০০ পেডিয়াট্রিক আইসিউ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। জুলাইয়ের মধ্যে শিশুদের জন্য ১৩০০ আইসিইউয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মমতা।

ইতিমধ্যেই, তৃতীয় ঢেউ অবসম্ভাবী বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ এই ঢেউয়ে আক্রান্ত হতে পারে শিশুরা৷ সেই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই ১০ সদস্যের নতুন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার৷ ১০ সদস্যের এই কমিটিতে রয়েছেন বিসি রায় শিশু হাসপাতালের অধ্যক্ষ দিলীপ পাল, স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের যোগীরাজ রায়, বিভূতি সাহা, এসএসকেএম হাসপাতালের অভিজিৎ চৌধুরী সহ মোট ছয় জন চিকিৎসক৷ এই কমিটির মাথায় থাকবেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা৷ শিশুদের জন্য রাজ্যের করোনা চিকিৎসার পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *