রাজ্যের জলমগ্ন পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর রাজ্য সরকার

অস্বস্তিকর গরমে থেকে মুক্তি দিয়ে বিগত কদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়েছে বৃষ্টি হয়েছে অতিভারী৷ বিগত তিনদিনের বৃষ্টিতে জলের তলায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা৷ লাগাতার বৃষ্টিতে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি৷ টানা বৃষ্টিতে বেহাল রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত৷ দেখা দিয়েছে প্লাবনের আশঙ্কা৷ জলের তলায় তলিয়ে গিয়েছে ঘর বাড়ি৷ ফুঁসছে নদী৷ বিঘার পর বিঘা জমি জলের তলায় ডুবে গিয়েছে৷ ঘরের ভিতরেও জল ঢুকে পড়েছে। এমতাবস্থায় সাধারণ মানুষের সম্পত্তি ও প্রাণহানি রুখতে তৎপর রাজ্য সরকার৷ তাই আগে থেকেই সব রকমের সতর্কতামূলক পদক্ষেপ করতে চাইছে রাজ্যের তরফে৷ নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিপদ সীমার মধ্যে থাকা জেলাগুলি থেকে ইতিমধ্যেই ৯০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জলবন্দি এলাকার মানুষদের রাখার জন্য খোলা হয়েছে ৩৫০টি ত্রাণ শিবির।

সোমবার সকাল থেকেই বাঁধের ধারে আটকে থাকা মানুষজনকে উদ্ধারের কাজ শুরু করে সেনাবাহিনী৷ নামানো হয় সেনার কপ্টার৷ এই প্রথম কপ্টার নামিয়ে আরামবাগে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে সেনা৷ এখনও পর্যন্ত জলবন্দি এলাকায় ১ লক্ষ ত্রিপল ও ত্রাণ সামগ্রী পাঠানো হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ১ হাজার মেট্রিক টন চাল এবং ৩৫ হাজার জামা কাপড়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ্যসচিবের কাছ থেকে এই বিষয়ে যাবতীয় খোঁজখবর নিয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে৷ জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই খানাকুলের ধান্যঘরির বেড়াপাড়া থেকে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে৷ তাঁদের আরামবাগে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *