বিধিনিষেধের ক্ষেত্রে আরও কিছুটা সময় বাড়ালো রাজ্য সরকার

কিছুটা স্বস্তির পর আবার বাড়তে থাকা করোনা সংক্রমণ রুখতে বদ্ধপরিকর রাজ্য সরকার। এই সংক্রমণের সব চেয়ে বড় হাতিয়ার হলো বিধিনিষেধ। এবার এই বাড়তে থাকা পরিস্থিতিতে ৩০ জুলাই পর্যন্ত বাড়ল বিধিনিষেধের মেয়াদ। তবে এবার আরও কিছুটা শিথিল হলো বিধিনিষেধের নিয়ম কানুন। লোকাল ট্রেন বন্ধ রেখে নিত্য যাত্রীদের জন্য মেট্রো পরিষেবা খুলে দেওয়া হল। আগামি ১৬ জুলাই থেকে চলবে মেট্রো। সপ্তাহে ৫ দিন, ৫০ শতাংশ যাত্রী সাধারণ যাত্রীর জন্য চলবে মেট্রো। শনি-রবিবার বন্ধ থাকবে মেট্রো পরিষেবা। মেট্রোতে যাত্রীদের মাস্ক পরা, মেট্রোতে নিয়মিত স্যানিটাইজেশন ও কোভিড সংক্রান্ত বিধি পালনের বিষয়টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব থাকছে স্থানীয় প্রশাসন ও মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের।

সকাল ৬-১০ শর্তসাপেক্ষে খোলা যাবে সুইমিং পুল। শুধুমাত্র রাজ্য এবং জাতীয়স্তরে ক্রীড়া প্রশিক্ষণে ছাড় দেওয়া হয়েছে। বদল ঘটানো হয়েছে ব্যাঙ্ক পরিষেবায়। ১৬ জুলাই থেকে সকাল ১০-৩ টে পর্যন্ত খোলা থাকবে ব্যাঙ্ক। সমস্ত রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষামূলক, বিনোদন সংক্রান্ত জমায়েত নিষিদ্ধই থাকছে। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে ২০ জনের বেশি থাকা যাবে না। বিয়ে বাড়িতে সর্বাধিক ৫০ জন আমন্ত্রিত। ১৬ জুলাই থেকে দোকান-বাজার-শপিং মলে থাকছে না সময়বিধি। ১৬ জুলাই থেকে ৫০ শতাংশ গ্রাহক নিয়ে খোলা যাবে শপিং মল। উঠে যাচ্ছে দোকান-বাজার খোলার বিধিনিষেধ এবং নাইট কার্ফু। তবে স্টাফ স্পেশাল ছাড়া আপাতত চালু হচ্ছে না লোকাল ট্রেন। পাশাপাশি আপাতত বন্ধই থাকছে স্কুল-কলেজ-সিনেমা হল।

জরুরি ও অত্যাবশ্যক পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত সরকারি অফিস, টেলিকম,ইন্টারনেট, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া, দমকল, গণবন্টন ব্যবস্থা সহ খাদ্য ও অসামরিক সরবরাহর মতো পরিষেবা আগের মতোই খোলা থাকবে। অন্যান্য সরকারি অফিসগুলিতে স্বাভাবিক কাজের সময় ২৫ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে কাজ চলবে। বিভাগীয় প্রধান এ ব্যাপারে কর্মীদের হাজিরা সংক্রান্ত দিনক্ষণ স্থির করবেন।

পার্কগুলি প্রাতর্ভ্রমণ ও ব্যায়ামের জন্য সকাল ছয়টা থেকে নয়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে এবং শুধু টিকা প্রাপ্তদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে। হোটেল, শপিং মল ও ক্লাবের সহ আসন সংখ্যার ৫০ শতাংশ নিয়ে রেস্তোরাঁ, বার স্বাভাবিক কাজের সময় খোলা রাখা যেতে পারে। তবে রাত ৮ টার পর খোলা রাখা যাবে না। জিমগুলি প্রত্যেক সেশনে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে সকাল ৬ টা থেকে ১০ টা ও বিকেল চারটে থেকে রাত আট পর্যন্ত জিমগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে কর্মী ও পরিষেবা গ্রাহকদের টিকাকরণ ও নিয়মিত স্যানিটাইজেশনের শর্তও থাকছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *