জলপাইগুড়িতে তিস্তার পার যেন যুদ্ধক্ষেত্র। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সেখানে এসেছে সেনাবাহিনীর বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের বাইশটি দল। গজলডোবা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত তিস্তার পারে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা অসংখ্য বিস্ফোরক ফাটিয়ে নিষ্ক্রিয় করছে তারা। আর তাই মুহুর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে নদীপার, ঝলকে ওঠা আগুনে পুড়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ এলাকার ধানখেত।মঙ্গলবার তিস্তাপারে অন্তত ২০টি জায়গায় শতাধিক বিস্ফোরক ফাটানো হয়েছে। এগুলি সবই হড়পা বানে সিকিম থেকে ভেসে এসেছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, কত বিস্ফোরক ভেসে এসেছে বা কতটুকু উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তার কোনও আন্দাজ সেনাবাহিনীর তরফে দেওয়া হয়নি।
তিস্তায় ভেসে আসা দুটি রকেট লঞ্চার কিনে গুদামে রাখার অভিযোগে এক বাসিন্দাকে আটক করেছে পুলিশ। গজলডোবা লকগেটে থিকথিকে পলি জমে রয়েছে। পলির নীচেও বিস্ফোরক চাপা পড়ে রয়েছে বলে এ দিন সেনার তরফে মনে করা হচ্ছে। ব্যারাজের নীচে বিস্ফোরক জমে থাকলে, তা আশঙ্কার কারণ।
জলপাইগুড়ির তিস্তাপারের সুকান্তনগর, সারদাপল্লি, বিবেকানন্দপল্লি, বালাপাড়ায় পড়ে থাকা বিস্ফোরক এ দিন ফাটিয়েছে সেনা। সে বিস্ফোরণ দেখতে বাসিন্দাদের ভিড় উপচে পড়ে। সকাল থেকে দুপুর ঘনঘন বিস্ফোরণের শব্দ ভাসতে থাকে তিস্তাপারে। বিস্ফোরণের পরে হাওয়ায় বারুদের গন্ধ ছিল দীর্ঘক্ষণ। শব্দের আতঙ্কে মাঠে গবাদি পশুদের আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে দেখা যায়। তিস্তার পারে পরিযায়ী হাঁসের দল আসতে শুরু করেছে। পরিবেশপ্রেমীদের অভিযোগ, ঘন ঘন বিকট শব্দে শান্তিভঙ্গ হয়েছে তাদের।