আগামীকাল আমিরশাহী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

সপ্রতি এক ভুল মন্তব্য ঘিরে উত্তাল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল গোটা দেশে। বিজেপির বহিষ্কৃত নেত্রী নূপুর শর্মার হজরত মহম্মদকে নিয়ে যে মন্তব্য ছিল তা বিরাট উত্তেজনা বাড়িয়েছে দেশে এবং বিদেশে। ভারতের একাধিক রাজ্যে এই ইস্যু নিয়ে গণ্ডগোল বাঁধে, রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখায় মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ। ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যের একাধিক থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শুধু দেশে নয়, ভারত সরকার এই কারণে সমালোচিত হয়েছে বিদেশেও। মুসলিম অধ্যুষিত একাধিক দেশ ভারতকে নিশানা করে। আফগানিস্তান, পাকিস্তান তো ছিলই, সৌদি আরব সহ আরও ভিন্ন দেশ প্রশ্ন তোলে। আন্তর্জাতিক মহলে ভারতের চাপ বাড়ছিল বৈকি। কিন্তু এখন হয়তো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসছে। কারণ খুব শীঘ্রই আমিরশাহী সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, জার্মানিতে জি-৭-এর বৈঠকে আমন্ত্রিত হয়েছেন মোদী এবং সেখানে যোগ দিতেই ২৬ জুন সফর করবেন তিনি। তারপর সেখান থেকে তিনি যাবেন আবু ধাবি। ২৮ জুন পর্যন্ত রয়েছে তাঁর সফর। কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন আমিরশাহীর প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। শাসকের মৃত্যুতে ব্যক্তিগত ভাবে শোকপ্রকাশ করতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সেখানে যাচ্ছেন বলে খবর।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের মতে, মোদীর এই সফর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ বিগত কয়েক সপ্তাহে যেভাবে ভারতের ওপর চাপ সৃষ্টি হয়েছে পয়গম্বর বিতর্কের জন্য তাতে মলম লাগাতেই মোদীর এই সফর। সেখানে গিয়ে অবশ্যভাবেই প্রধানমন্ত্রী চেষ্টা করবেন সম্পর্ক আবার আগের মতো মজবুত করতে। কিছুদিন আগেই এই বিতর্কের মাঝে কুয়েত, সৌদি আরব-সহ একাধিক দেশ ভারতের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে প্রতিবাদ জানায়। যদিও সেটা করেনি আবু ধাবি। তারা মৌখিক প্রতিবাদ করেছিল। এখন দেখার নরেন্দ্র মোদীর এই সফর থেকে আদতে কী লাভ পায় ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *