আবার বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমনের সংখ্যা

বিগত কয়েক দিন যাবত স্বস্তি বজায় থাকলেও গতকাল দেশের কোভিড গ্রাফ নিয়ে বিরাট চিন্তা বেড়েছিল। কিন্তু আজ তুলনায় দৈনিক সংক্রমণ কমেছে। আবার একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কমেছে। একাধিক রাজ্যের পরিসংখ্যানে বদল হলেও সবথেকে বেশি চিন্তা হচ্ছে দিল্লিকে নিয়ে। কারণ রাজধানীতে গত দু’সপ্তাহে করোনা আক্রান্ত বেড়েছে ৫০০ শতাংশ! বিধিনিষেধ উঠে গেলেও কোনও ভাবেই যাতে সংক্রমণ মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা রোগী চিহ্নিত করতে জোর দেওয়া হচ্ছে টেস্টিংয়ে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে সকলের জন্য বুস্টার টিকাকরণ। কিন্তু আবার কোভিড গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় শঙ্কা বাড়ছে।

কেন্দ্রীয় তথ্য বলছে, আজ দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ২৪৭ জন, এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। আবার একদিন সুস্থ হয়েছে ৯২৮ জন। এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৫ লক্ষ ১১ হাজার ৭০১ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে দেশের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ৮৬০। এদিকে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২১ হাজার ৯৬৬ জনের। আপাতত দেশের সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। টিকাকরণও চলছে দাপটের সঙ্গে। এতদিনে মোট টিকা দেওয়া হয়েছে ১৮৬ কোটি ৭২ লক্ষের বেশি ডোজ। ইতিমধ্যে দেশে কোভিড বিধি প্রায় প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং অনেকে রাজ্যে মাস্ক ব্যবহারেও শিথিলতা জারি করা হয়েছে। কিন্তু ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের আশঙ্কায় চতুর্থ ঢেউ নিয়েই চিন্তিত সকলে।

জানা গিয়েছে যে, নতুন দুই ধরণের ওমিক্রনের খোঁজ মিলেছে। তাহলে কতটা বিপদ আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে? এর উত্তর আপাতত অজানা। সম্প্রতি তার বিএ.৪ এবং বিএ.৫ রূপ চিহ্নিত হয়েছে। কয়েকটি দেশে করোনার এই দুই রূপ মারাত্মকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, এমনটাই দাবি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। তাহলে কি বিপদ আরও বেড়ে গেল? ‘হু’ আপাতত এই নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছে না। তারা জানাচ্ছে, এই প্রজাতিতে সংক্রমণের হার বেশি হলেও ভয়াবহতা মাত্রা খুব বেশি নয়। সেই রকম কোনও প্রমাণও এখনও পর্যন্ত কোথাও মেলেনি। তাই আপাতত এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই বলেই আশ্বস্ত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *