ফের একবার হুঁ হুঁ করে বাড়ছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা। বাড়তে থাকা সংক্রমনে লাগাম আনতে কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে গোটা রাজ্যে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে যে আক্রান্তের সংখ্যা বাগে আসবে না তাও স্পষ্ট। কারণ বছরের শেষে লাগামছাড়া ভিড় দেখা গিয়েছে সব জায়গায়। আর কলকাতার সংক্রমণও বিরাট বৃদ্ধি পেয়েছে তাই আশঙ্কা এখনই চলে যাচ্ছে না। আজও বাংলার কোভিড গ্রাফ উপরের দিকেই।
শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে আজ আক্রান্ত হয়েছে ২৩ হাজার ৪৬৭ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ৬ হাজার ৭৬৮ জন। সংক্রমণের নিরিখে তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ৪ হাজার ৭২৮ জন। ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৮ লক্ষ ৪১ হাজার ০৫২ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৯ হাজার ৯৮৫ জনের। আজ বঙ্গের পজিটিভিটি রেট ৩২.১৩ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮ হাজার ১৩৯ জন। এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত বাংলার ১৬ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫১৪ জন। সুস্থতার হার ৯১.৭৭ শতাংশ ও মৃত্যু হার ১.০৯ শতাংশ। চিন্তার ব্যাপার পশ্চিম বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি সব জেলাতেই সংক্রমণ ১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে আজকেও।
এদিকে, ইন্ডিয়ান ইন্সস্টিটিউট অব সায়েন্স (আইআইএসসি) এবং ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইন্সস্টিটিউট (আইএসআই)-এর একদল গবেষক দাবি করেছেন যে, আগামী ফেব্রুয়ারী মাসের শেষ পর্যন্ত চলবে এই করোনার দাপাদাপি। অর্থাৎ ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্ত আরও প্রায় দুই মাস সহ্য করতে হবে সাধারণ মানুষকে। ফেব্রুয়ারীর পর মার্চ বা এপ্রিলের শুরুর দিকে তলানিতে ঠেকবে করোনা সংক্রমণ বলে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে এই গবেষণায়। আজ আবার রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের ভার্চুয়াল এই বৈঠকে তিনি সকল মুখ্যমন্ত্রীদের মাইক্রো কনটেনমেন্টে জোর দিতে বলেছেন। একই সঙ্গে, সকলকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন তিনি।