প্রায় একশো বছরের কাছাকাছি সময় ধরে দেশ স্বাধীন থাকলেও নামে কোনো বদল আসেনি। কিন্তু এবার অবশেষে বদল হলো নামে। এখন থেকে বিশ্ব দরবারে তুরস্ক দেশের নাম বদলে হল টার্কিয়ে। আকস্মিকভাবে শুনলে অবিশ্বাস্য বলে মনে হলেও বাস্তবে ঘটেছে এই ঘটনা। জানা যাচ্ছে বছরখানেক আগে দেশের নামবদলের আর্জি জানিয়ে জাতিসংঘকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন তুরস্কের বিদেশমন্ত্রী। সেই চিঠির পক্ষেই রায় দিয়েছে জাতিসংঘ। আর তাই, ১৯২৩ সালে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ পাওয়া তুরস্কের নাম ২০২২ সালে বদলে হল টার্কিয়ে।
সূত্রে খবর, তুরস্কের সাধারন মানুষ এবং সরকারের দাবি ১৯২৩ সালে যখন তুরস্ক স্বাধীন হয় তখন প্রথমে এই দেশের নাম রাখা হয়েছিল টার্কিয়ে। কিন্তু পরে সেই নাম পরিবর্তন করে টার্কি তথা তুরস্ক রাখা হয়। মূলত সেই কারণেই জাতিসংঘের কাছে তুরস্কের নাম পরিবর্তনের রাজ্যে জানিয়েছিল সেই দেশের সরকার। সম্প্রতি তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরডোয়ানও এই নাম পরিবর্তনের আর্জি জানিয়ে বারংবার জাতিসংঘের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। জাতিসংঘের কাছে জানানো এই দাবি যাতে আরও জোরালো হয় তার জন্য সম্প্রতি নাম পরিবর্তনের আর্জি জানিয়ে দেশবাসীর মতামত নেওয়া হয়।
দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল। সেই বিষয়টিও জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতেরেসকে জানানো হয়। আর তাই সবদিক বিবেচনা করে বৃহস্পতিবার দেশের নাম পরিবর্তনের পক্ষে সায় দিল জাতিসংঘ। জাতিসংঘের মত, দেশের সিংহভাগই চায় তুরস্কের নাম পরিবর্তন করে টার্কি রাখা হোক। এর সঙ্গে দেশবাসীর আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আর তাই দেশবাসীর দেওয়া নামই রাখা বাঞ্ছনীয়।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘের আগেই এই দেশের সরকার চলতি বছরের একদম প্রথমেই একটি নির্দেশিকা জারি করে জানায়, তুরস্ক আর টার্কিয়ে এই দুই নামের মধ্যে আবেগ ও ভালোবাসা জড়িয়ে দ্বিতীয়টির সঙ্গে। তাই এখন থেকে তুরস্ক না বলে এই দেশকে টার্কিয়ে বলেই ডাকা হোক। প্রেসিডেন্টের এই নির্দেশিকাতেই এবার সবুজ সঙ্কেত দিল জাতিসংঘ।