আগামী মাসেই আরো দুই কেন্দ্রে হবে ভোট৷ আসানসোল লোকসভা ও বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গিয়েছে৷ ১২ এপ্রিল ভোট হবে এই দুই কেন্দ্রে৷ রবিবার সকালেই এই দুই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি জানান, আসানসোলে বাবুলের ছেড়ে যাওয়া কেন্দ্রে লড়বেন ‘বিহারি বাবু’ শত্রুঘ্ন সিনহা৷ অন্যদিকে, বালিগঞ্জ দলের মুখ বাবুল সুপ্রিয়৷ দুই নেতাই একসময় বিজেপি’তে ছিলেন৷ এখন তাঁরা তৃণমূলে৷ তবে তৃণমূলের প্রার্থী নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিরোধীরা৷ তাঁদের কথায়, অন্যদল ছেড়ে আসার উপহার এটা৷
এদিকে, বালিগঞ্জ পেয়েই তৃণমূল সুপ্রিমোকে কৃতজ্ঞতা জানান বাবুল৷ তিনি টুইটে লেখেন, ‘‘আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ শ্রদ্ধেয় দিদি। আপনি আমাকে বাংলার জনগণের সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন৷ আপনার উদ্দীপনাময় নেতৃত্ব ও আশীর্বাদে আমি নতুন শক্তি ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনে হৃদয় দিয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকব।’ প্রসঙ্গত, ‘তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বাবুল বলেছিলেন, আমি প্রথম একাদশে খেলতে ভালোবাসি৷’ কিন্তু দলে যোগ দেওয়ার পর কোনও বিশেষ পদ না পাওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুবেছিলেন৷ এবার সব প্রশ্নের জবাব মিলল৷
এদিকে, টুইটে খোঁচ দিয়ে বিজেপি’র আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, ‘অনেকেই ভেবেছিলেন যুব তৃণমূলের প্রেসিডেন্ট সায়নী ঘোষকে আসানসোলর প্রার্থী করা হবে। কিন্তু তিনি আবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। তাই তাঁকে বাদ দেওয়া হয়েছে।’ আবার রাহুল সিনহার কথায়, কাকে কী লোভ দেখিয়ে দলে আনা হয়েছে, সেটা বোঝাই যাচ্ছে৷ আবার বাবুলের বালিগঞ্জে প্রার্থী হওয়া নিয়ে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘কার চুল এলোমেলো, কার কী এলো গেল!’’