প্রায় তিন মাস পর শেষ হলো বগটুই কাণ্ডের তদন্ত

প্রায় তিন মাস পর শেষ হলো রাজ্যে ঘটে যাওয়া এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত, জানানো হলো হাইকোর্টের তরফে। বীরভূমের বগটুই-কাণ্ডের তদন্ত শেষ করেছে সিবিআই এবং তদন্তে শেষে তারা আদালতে জানিয়েছে, এই ঘটনায় মোট ১৬ জন অভিযুক্ত। কলকাতা হাইকোর্টে তাদের বক্তব্য, চার্জশিটে নাম রয়েছে মোট ১৬ জনের।

তবে এই ঘটনায় সবথেকে চর্চিত নাম আনারুল হোসেন। সিবিআই দাবি করেছে যে, আনারুল চাইলে এই ঘটনা থামাতে পারত কিন্তু সে তা করেনি। যদিও আনারুল এখনও নিজেকে নির্দোষ বলেই দাবি করছে। এর আগে বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছিল তার ৯০ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট দিয়েছিল সিবিআই।

গোয়েন্দাদের দাবি, বগটুই-কাণ্ডে প্ররোচনা দিয়েছিল তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন। বগটুইয়ের একাধিক বাড়িতে যখন আগুন লাগানো হচ্ছিল তখন তাঁকে অনেকেই ফোন করেছিলেন সাহায্য চেয়ে। কিন্তু সে সাহায্য তো করেনি উলটে বলেছিল পুলিশকে যেন খবর দেওয়া না হয়। পুলিশ যাবে না।

তারা এও দাবি করেছে যে, বগটুই গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছে তা থামানো যেত। থামাতে পারত খোদ আনারুল। কিন্তু সে তা করেনি। অগ্নিকাণ্ড রুখতে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি, পুলিশও ডাকতে দেয়নি। এদিকে আনারুলের স্পষ্ট বক্তব্য, যেখানে ঘটনা ঘটেছে সেখান থেকে তাঁর বাড়ি কমপক্ষে ৫ কিলোমিটার দূরে।

তাঁকে ফাঁসাতেই চক্রান্ত করা হয়েছে। সময় এলে সে সবার নাম বলে দেবে। তাঁর এই মন্তব্যে প্রথম থেকেই শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, রামপুরহাট বগটুই মোড়ে বোমার আঘাতে খুন হন বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ। ওই ঘটনার পরেই বগটুই গ্রামে ১০ টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *