গেরুয়া শিবিরের গঙ্গা অরতি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি শহরে

পুজো আরতি নিয়ে ঘোষণা হয়েছিল পূর্বেই। কিন্তু এই মুহূর্তে বিজেপির গঙ্গা অরতি কর্মসূচিতে অনুমতি দিল না কলকাতা পুলিশ। সেই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার অবস্থা শহরে। বাবুঘাটে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং পুলিশের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের কার্যত ধ্বস্তাধস্তি বাঁধে। পরিস্থিতি এমন তৈরি হয় যে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর সামনেই বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে টেনে-হিঁচড়ে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, কর্মসূচির কোনও অনুমতি ছিল না বিজেপির কাছে, তাও তারা এখানে এসেছিলেন।

বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার আগে থেকেই জানিয়েছিলেন, পুলিশ অনুমতি না দিলেও এই কর্মসূচি হবে এবং তারা বাবুঘাটে যাবেন। সেই মতো বিজেপি এই কর্মসূচি করে। এদিন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ দাবি করেন, সেনাবাহিনীর থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল এই কর্মসূচির জন্য, কিন্তু পুলিশ প্রথম থেকেই তাদের বাধা দেয়। আর এই নিয়েই পুলিশের সঙ্গে তাঁদের তর্ক হয়। পরে সজল ঘোষকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তোলে পুলিশ। বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই, সরকার মানুষের অধিকার কেড়ে নিচ্ছে।

এদিন সকাল থেকেই বাবুঘাটের বাজে কদমতলায় উত্তেজনা বাড়ছিল। সেখানে বিজেপির তৈরি মঞ্চ খুলে দেয় পুলিশ। পরে বিজেপি নেতা সজল ঘোষকে বাবুঘাট এলাকা থেকে আটক করে। যদিও সাড়ে ৫টা নাগাদ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে গঙ্গা আরতি কর্মসূচি হবে বলে অনড় রয়েছে বিজেপি। সুতরাং আরও উত্তাপ যে বাড়বে তার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *