জল্পনা চলছিল দীর্ঘদিন ধরেই, এবার তা সত্যি হতে চলেছে। কংগ্রেসে থাকা সত্তেও বরাবরই তিনি সমর্থন করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্যের শাসকদলকে। অনেক সময়ই তাকে পাশে পেয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। সেই থেকেই জল্পনার সূত্রপাত। এবার সেসবে গুঞ্জনে ইতি টেনে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন প্রণবপুত্র তথা জঙ্গিপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদের হাতে এদিন দলীয় পতাকা তুলে দিলেন মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়েই কংগ্রেসের সঙ্গে বহু বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করে রাজনৈতিক কেরিয়ারের নতুন পথে পা রাখলেন অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়। যোগদান পর্বে ছিলেন, তৃণমূলের মহাসচিব তথা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় এবং লোকসভার দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়েকদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে কথা চলছিল প্রণব-পুত্রের।
এর আগে গত ২১ জুন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন জঙ্গিপুরের প্রাক্তন সাংসদ। ওইদিন অভিষেকের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে গিয়ে বেশ কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলেন তিনি। এর কয়েকদিন আগেই সাংসদ ও তৃণমূল জেলা সভাপতি আবু তাহের, সাংসদ খলিলুর রহমান, দুই মন্ত্রী আখরুজ্জামান ও সাবিনা ইয়াসমিন, বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের সঙ্গে চা-চক্রে দেখা করেছিলেন অভিজিৎ। তখন থেকেই দলবদলের জল্পনা শুরু হয়েছিল। গত ২ মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসায় শাসকদলে যোগদানের ঝোঁক বাড়ছে বিভিন্ন শিবিরের নেতাদের।
মনে করা হচ্ছে যে, জঙ্গিপুর আসন থেকে অভিজিৎকে টিকিট দেওয়া হতে পারে তৃণমূলের তরফ থেকে। রাজ্যের যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে উপনির্বাচন হবে, তার মধ্যে একটি হল জঙ্গিপুর। এর আগে ২০১২ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় রাষ্ট্রপতি হলে জঙ্গিপুর আসন থেকে পদত্যাগ করেন। উপনির্বাচনে সেই আসন থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছিলেন অভিজিৎ। পরে ২০১৪ সালেও জয় পান তিনি। কিন্তু ২০১৯ সালের নির্বাচনে তিনি হেরে যান।