গতকাল গোটা দিনটা কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে অতিক্রম করেছে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী। শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ ইডির একটি দল রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে এসেছিল। নিয়োগ কেলেঙ্কারি নিয়ে তদন্তের খাতিরে তাঁরা মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
তারপর সারাদিন কেটে গিয়ে রাত হয়ে গিয়েছে। ঘণ্টা হিসেবেও একদিন কেটে গিয়েছে। তাও ইডি তাঁর বাড়ি থেকে বেরোয়নি! খবর অনুযায়ী, রাত অবধি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে ছিলেন ইডি আধিকারিকরা।
শুক্রবার রাতে কার্যত নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে গিয়েছে। শহরের এক আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ কোটির বেশি টাকা। যার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছে, সেই অর্পিতা মুখোপাধ্যায়, পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে জানা গিয়েছে।
তারপর থেকেই রাজ্য যেন তোলপাড়। মনে করা হচ্ছিল রাতে হয়তো মন্ত্রীকে নিয়ে কোনও আপডেট পাওয়া যাবে। কিন্তু না, ২৪ ঘণ্টা পার হয়ে যাওয়ার পরেও কোনও তথ্য সামনে আসছে না। শোনা গিয়েছে, শুক্রবার গভীর রাতে এক বার পুলিশের আনাগোনা বাড়ে পার্থর বাড়ির সামনে।
কিন্তু অবশেষে কিছুই তেমন হয়নি। শনিবার সকালেও নাকতলায় মন্ত্রীর বাড়ির সামনে একই রকম পুলিশি প্রহরা। বাড়ির বাইরে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশকর্মীরা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইডির গাড়িগুলি।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে বেনিয়মের পাশাপাশি কী আর্থিক লেনদেন হয়েছিল? এই প্রশ্ন যখন জোড়াল হয়ে উঠেছে, ঠিক সেই মুহূর্তে ২০ কোটির মতো বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা উদ্ধার নিশ্চিত ভাবেই তদন্তের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা৷ নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি করে উদ্ধার হয়েছে বান্ডিল বান্ডিল নোট৷ এতে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্য চিন্তা যে বেড়েছে তা বলাই বাহুল্য।