আগামীকাল থেকে খুলতে চলেছে শিক্ষা প্রতিষ্টান

বহু প্রতীক্ষার পর অবশেষে খুলছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নবান্নে বৈঠক করে এদিন বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানালেন, স্কুল খুলছে ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে। ক্লাস হবে অষ্টম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল শুরু। এছাড়াও আজ তিনি জানান যে, ১ ফেব্রুয়ারী থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত নয়া বিধিনিষেধ জারি করা হচ্ছে যদিও তাতে বহুলাংশে ছাড় দেওয়ার কথা জানান তিনি।

এদিন মমতা জানান, স্কুল-কলেজ অর্থাৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী ৩ তারিখ থেকে খুলে যাবে রাজ্যে। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি এবং কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চালু হয়ে যাবে এই দিন থেকেই বলে জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি তিনি জানান, পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচিতে পড়ানো হবে। তবে এখনই প্রাইমারি ক্লাস গুলি খোলা হবে না বলেই স্পষ্ট করেন তিনি। তবে স্কুল-কলেজ খুললেও তা কোভিড বিধি মেনে হবে বলেই আরও একবার মনে করিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

কিছুদিন আগেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেদিনই তিনি জানিয়েছিলেন যে, মুখ্যমন্ত্রী স্কুল-কলেজ খোলার ব্যাপারে উদ্যোগী এবং তিনিই এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন। করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর দিয়েই সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। আজ সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয় ঘোষণা করে দিলেন।

উল্লেখ্য, ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় এবং নির্দেশে এই উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি জানান, দেশের কোনও রাজ্যে কোভিড অতিমারির মধ্যে এই ধরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাই মনে করা হচ্ছে, বাংলার এই উদ্যোগ গোটা দেশকে পথ দেখাবে। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, প্রায় ২ লক্ষ শিক্ষক-শিক্ষিকাকে অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ১২ হাজার প্রধান শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। স্কুল খোলার প্রসঙ্গে রাজ্যের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, ‘‘৩ ফেব্রুয়ারি থেকে স্কুলে পুনরায় পঠন পাঠন শুরু হচ্ছে ৮ থেকে ১২। সঙ্গে মাদ্রাসা, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ও। দাবি মেনে নেওয়ার জন্য অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীকে৷ কিন্তু আমরা দাবি করছি, পাড়ায় নয়, আর কালবিলম্ব না করে এখনই প্রথম শ্রেণি থেকেই বাকি ক্লাসগুলি স্কুলে পঠন-পাঠন শুরু করতে হবে। বাকি ক্লাসগুলিতে শ্রেণিকক্ষে পঠন-পাঠন শুরুর দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *