রাজ্যে জুড়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে তোলপাড় পরিস্থিতি। এই পরিস্থিতিতে নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি’র মামলায় ফের আদালতে হাজির করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। সেই মামলার শুনানিতে জামিন চাননি পার্থ, তবে তিনি কৈফিয়ত চেয়েছেন তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে। অর্পিতার আইনজীবীও এই বিষয় নিয়ে আদালতে জানতে চান। তবে ইডি’র আইনজীবী গোটা বিষয়টিকে ডাকাতির সঙ্গে তুলনা করেছেন।
কেন তদন্তে দেরি হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের আইনজীবীরা। সেই প্রশ্নের জবাবেই বিস্ফোরক দাবি করেন ইডি’র আইনজীবী। তিনি বলেন, গোটা ঘটনা কার্যত ডাকাতি করে চম্পট দেওয়ার মতো। ডাকাতি করে কেউ যদি এদিক-ওদিক চলে যান, তবে কি ২৪ ঘণ্টায় তদন্ত করা সম্ভব? এই প্রশ্ন তোলেন তিনি। আসলে নতুন এক অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে। দাবি করা হয়েছে, বেসরকারি আইন কলেজের ছাত্রপত্র দেওয়ার জন্য নাকি মোটা টাকার লেনদেন হত এবং তার কেন্দ্রে থাকতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
অন্যদিকে ইডি’র তরফে এও জানান হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্যের কাজকর্ম সম্পর্কে ভালোভাবেই জানতেন পার্থ। কিন্তু তিনি কোনও দিন কোনও কথাই বলেননি। কেন তিনি চুপ থাকতেন সেই নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সিবিআই, ইডি মামলা মিলিয়ে এখন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় খুবই চাপে আছেন তা আলাদা করে বলার দরকার পড়ে না।