ফের একবার বাড়ন্ত কোভিড সংক্রমণের জন্য বন্ধ হয়েছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷ রাজ্য জুড়ে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা নিয়ে৷ সবার দাবি করোনা বিধি মেনে খোলা হোক স্কুল৷ পুজোর পর কিছু দিনের জন্য নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হয়েছিল৷ কিন্তু ফের সংক্রমণ মাথাচাড়া দিতেই বন্ধ স্কুল-কলেজের দরজা৷ রাজ্যজুড়ে জারি হয়েছে নানা বিধি-নিষেধ৷ তবে দেখতে গেলে স্কুল বাদে কোভিড বিধি মেনে চলছে সব কিছুই৷ এমতাবস্থায় বুধবার থেকে একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়ে গিয়েছে৷ শুরু হয়ে গিয়েছে সই সংগ্রহ অভিযান৷ সাধারণ অভিভাবক থেকে বিশিষ্টজন, সকলেই সামিল হয়েছেন তাতে৷ তাঁদের দাবি, এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হোক৷ নাহলে সন্তানদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হওয়ার সম্ভবনা প্রবল৷
করোনার আবহে যেখানে শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হয়েছে পানশালা, সিনেমা হল থেকে শপিং মল৷ চলছে গণ পরিবহণ৷ বিয়ে বাড়িতে ছাড় দিয়ে আমন্ত্রিতের সংখ্যা ৫০ থেকে একলাফে বাড়িয়ে ২০০ করা হয়েছে৷ গঙ্গাসাগর মেলা হয়েছে৷ এক মাস পিছলেও হবে বই মেলা৷ তাহলে স্কুল খোলা হবে না কেন? এই আন্দোলনে এবার সামিল হতে দেখা গেল বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী শ্রাকান্ত আচার্য ও তাঁর স্ত্রী গীতিকার অর্ণা শীলকে৷
এ প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এক প্রথমসারির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমরা স্কুল খুলে দিতে চাই৷ প্রতিদিন রাজ্যের কোভিড পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে এবং তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী উপযুক্ত সময় এলেই স্কুলে খুলে দেওয়া হবে৷’’ উল্লেখ্য, কোভিড আবহেই সোমবার থেকে মহারাষ্ট্রে খুলে যাচ্ছে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান৷
এদিন থেকে শুরু হওয়া ফেসবুক পোস্টের শুরুতেই আক্রমণ শানানো হয়েছে৷ সেখানে বলা হয়েছে, ‘যতদিন না গর্জে উঠব, ততদিন সুরাহা হবে না। অভিভাবক হিসেবে বলছি, এবার মনে হয় গর্জে ওঠা দরকার প্রত্যেক অভিভাবকের। আমার সন্তানের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, নষ্ট করে দিচ্ছে। মা/বাবা হিসেবে সন্তানের এত বড় ক্ষতিতেও যদি আওয়াজ না তুলি, তা হলে তো মা-বাবা হওয়ার যোগ্য নই।’ ওই পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘ভীষণ ভাবে দাবি জানাচ্ছি, অবিলম্বে ইউনিভার্সিটি-কলেজ-স্কুল খোলা হোক। করোনার গল্প অনেক হল। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নিয়ে আর খেলবেন না। তাদের ভাল ভাবে থাকার রাস্তাটা বন্ধ করে দিয়ে যাবেন না।’