সংক্ৰমণ মুক্ত হলো দেশ

অতিমারীর পর্যায় করোনা সংক্রমণের ওঠা নামা লেগেই রয়েছে বিশ্বে। বিশ্বের মধ্যে একদিকে যেমন এক দেশে বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা, তেমনই অন্যদিকে করোনামুক্ত হচ্ছে এক দেশ। তৃতীয় এশিয়ান দেশ হিসেবে করোনামুক্ত হল কম্বোডিয়া। জানা যাচ্ছে এই দেশের শেষ রোগী করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কম্বোডিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এই সুখবর জানানো হয়েছে। ওই বিবৃতিতে আরও জানানো হয়েছে, গত ৩১ দিনে এই দেশে নতুন করে আর কেউ করোনায় আক্রান্ত হননি। অন্যদিকে একে একে এই দেশের সমস্ত করোনা আক্রান্ত রোগীই করোনামুক্ত হয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।

প্রসঙ্গত, কম্বোডিয়ার আগে এশিয়ার আরও দুটি দেশ করোনা মহামারীকে হারিয়ে করোনামুক্ত দেশ হিসাবে নজির গড়েছে। ২০২১ সালে এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে করোনামুক্ত হয়েছিল তুর্কমেনিস্তান। ২০২১ সালে যখন করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছিল এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোতে তখনই সীমান্ত সিল করে এই দেশ করোনার বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছিল। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই হাতেনাতে মেলে ফল। করোনামুক্ত দেশ হিসেবে এশিয়ার আরও একটি দেশ টুভালু ইতিমধ্যেই এই মহামারিকে হারিয়ে নজির গড়েছে।

উল্লেখ্য ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কম্বোডিয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মেলে। এরপর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটিতে হুহু করে ছড়াতে থাকে করোনার সংক্রমণ। কম্বোডিয়ার সরকারি হিসাব বলছে এই দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ লক্ষ ৩৬ হাজার ২৬২ জন। এরমধ্যে করোনামুক্ত হয় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১ লক্ষ ৩৩ হাজার ২০৬ জন এবং করোনার কারণে মৃত্যু হয়েছে ৩০৫৬ জনের।

কম্বোডিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র করোনা নিয়ন্ত্রণে দেশের এই সাফল্যের জন্য সরকারের সঠিক নেতৃত্ব এবং করোনার ভ্যাকসিনের কার্যকারিতাকেই দায়ী করেছেন। এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন সেন দেশে বসবাসকারী সমস্ত কম্বোডিয়ান এবং বিদেশিদের বিনামূল্যে করোনার ভ্যাকসিন সরবরাহ করেছেন।

এই সঠিক এবং সময়োপযোগী সিদ্ধান্তের কারণেই দেশ আজ এই সাফল্য লাভ করল। ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই এবং সর্বোপরি জীবন রক্ষার জন্য সবথেকে শক্তিশালী হাতিয়ার হল করোনার ভ্যাকসিন। আর এই ভ্যাকসিনের কারণেই করোনার মৃত্যু এবং সংক্রমণ হ্রাস হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *