টুনি বাল্ব ও বৈদ্যুতিক প্রদীপের দাপটে হারিয়ে যেতে বসেছে মাটির প্রদীপ। কাঁচামাল ক্রয় এবং পারিশ্রমিক হিসেবে দাম পাচ্ছেন না চাক (কুমোর) শিল্পীরা। কুমোরদের পরবর্তী প্রজন্ম আসতে চাইছেন না এই পেশায়। তবুও দীপাবলীর আগে কিছুটা লাভের আশায় মাটির প্রদীপ তৈরিতে ব্যস্ত বালুরঘাটের চাক শিল্পীরা।
বালুরঘাট শহরের কাঁঠাল পাড়া, দিপালী নগর, এবং বালুরঘাট শহর সংলগ্ন মাহিনগর এলাকায় রয়েছে বেশ কিছু কুমোর বাড়ি। যারা প্রধানত চাক ঘুরিয়ে মাটির প্রদীপ তৈরি করে। যদিও বর্তমানে বেশ কিছু কুমোর ডাইসের মাধ্যমে প্রদীপ তৈরি করছে। শুরু হয়েছে ডাইসের প্রদীপ ও চাকের প্রদীপের মধ্যে প্রতিযোগিতা। অপরদিকে টুনি বাল্বের পাশাপাশি বৈদ্যুতিক প্রদীপে বাজার ছেয়ে গেছে। ফলে দ্বিমুখী প্রতিযোগিতায় দিন দিন পিছিয়ে পড়ছে চাকে তৈরি মাটির প্রদীপ। ফলে চাক শিল্পীদের পরবর্তী প্রজন্ম এই পেশায় আসতে চাইছে না।
বালুরঘাটের মাহিনগরের চাক শিল্পী বাসুদেব পাল জানান, বিভিন্ন শুভ কাজে মাটির প্রদীপ কমবেশি সারা বছর বিক্রি হয়, দীপাবলিতে বিক্রি কিছুটা বেশি। যদিও তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায়, মাটির প্রদীপের তুলনায় বৈদ্যুতিক প্রদীপের ব্যবহার বাড়ছে। প্রতিযোগিতায় মাটির প্রদীপ পিছিয়ে পড়ছে। পরবর্তী প্রজন্ম অন্য পেশা বেছে নিচ্ছে।