সামনেই আসন্ন করোনা সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ। এই ঢেউ থেকে বঙ্গবাসীকে সব রকম ভাবে রক্ষা করতে চান রাজ্য সরকার। এই উদ্যোগেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি হাসপাতাল পরিদর্শন করবেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। পরিস্থিতির খতিয়ান শুরু করেন শহরের অন্যতম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএম পরিদর্শন করে। এ দিন প্রায় চার ঘণ্টা এসএসকেএমে ছিলেন তিনি। রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থা এবং টাটা মেডিক্যালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৈরি হতে চলা ক্যান্সার কেয়ার সেন্টার নিয়েও খোঁজখবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম, এসএসকেএমের অধিকর্তা এবং সিনিয়র চিকিৎসকরা ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন মমতা।
এরপর বেরিয়ে যাওয়ার আগে তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। স্বাস্থ্যভবনে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম থাকেন। তারপরেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি মাসে দু’বার এসএসকেএম একটা ছোট জায়গা বানিয়ে আমি বসব। স্বাস্থ্যভবনটা যেহেতু যেতে দূর হয়, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১৫ দিন অন্তর ১০-১২ জনকে নিয়ে আমি এখানে এসে বসব।” তাঁর দাবি, ‘বিনিয়োগ, শিল্প স্থাপন এবং কর্মসংস্থানের পরিসর তৈরি করা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু স্বাস্থ্য আমার প্রধান জায়গা। জানা গিয়েছে, প্রতি বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টেয় তিনি যাবেন এসএসকেএমে। সেখানে ঘণ্টাখানেক থাকবেন। সঙ্গে থাকবেন স্বাস্থ্যসচিবও। তিনি বলেন, ‘টাটা ক্যান্সার হাসপাতাল রাজ্যে দুটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করবে। একটা এসএসকেএমে আর একটা উত্তরবঙ্গে। উত্তরবঙ্গে এই প্রকল্প রূপায়নের দায়িত্বে চিকিৎসক জিকে ঢালি। তিনি কয়েকবার উত্তরবঙ্গ ঘুরে এসেছেন।‘
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য, রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধায়। সেই মতো প্রত্যেক জেলাতেই একটা করে মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। মাঝে মধ্যে হাসপাতালগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিটও করেন তিনি। কিন্তু এরপরেও সরকারি হাসপাতালগুলিকে নিয়ে একাধিক অভিযোগ সামণে আসে। কখনও বেড নেই তো কখনও আবার রেফারের অভিযোগ ওঠে। তার ওপর করোনার তৃতীয় ঢেউ আসা সময়ের অপেক্ষা। এই অবস্থায় আগেভাবে পরিকাঠামো তৈরির জন্যে সরকারি হাসপাতালগুলিকে নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।