রাজ্যের উপনির্বাচনেও বড় জয় লাভ করেছেন রাজ্যের শাসক দল। এই জয় লাভের পর একাধিক রদবদল হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্রিসভায়। রাজ্যের শাসক দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় স্তর থেকেই একাধিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে অনেক দিন ধরেই। তবে সরকার গঠন করার পর এবং মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর সেই অভ্যাস ত্যাগ করতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনো সেই রকম কর্মঠ তিনি, এখনো চাপ নিয়ে কাজ করতে ভালোবাসেন। তাইতো এখন একটি বা দুটি নয়, আটটি দফতর একা সামলান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী তো বটেই, এর পাশাপাশি তিনি যে দফতর সামলান সেগুলি হল, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর, স্বরাষ্ট্র দফতর, ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতর, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, কর্মী ও প্রশাসনিক সংস্কার এবং e-governance দফতর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর এবং অর্থ দফতর। এই তথ্য জানার পর অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠতে পারে যে একজন এইভাবে এতগুলো দফতর কী করে সামলান। এই প্রসঙ্গে ভুলে গেলে চলবে না যে প্রত্যেক দফতরে অভিজ্ঞ প্রতিমন্ত্রী রয়েছে এবং মমতাকে উপদেশ বা পরামর্শ দেওয়ার জন্য রয়েছেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অমিত মিত্র। তাই কাজের সময় সঠিক পরামর্শ এবং উপদেশ পেলে তা যথেষ্ট কার্যকরী হয় বৈকি।
এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের মন্ত্রিসভায় রদবদল হয়েছে। রাজ্যের নতুন পঞ্চায়েত মন্ত্রী হয়েছেন পুলক রায়। সম্প্রতি রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছিলেন। তাঁর জায়গায় এলেন পুলক। এদিকে, ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী হচ্ছেন মানস ভুঁইয়া৷ জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের পাশাপাশি ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের বাড়তি দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি৷ প্রসঙ্গত, অসুস্থ সাধন পাণ্ডের হাত থেকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের হাতে৷ কিন্তু তাঁর মৃত্যুর পর এই দফতরটি ফাঁকা হয়ে যায়৷ ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের দায়িত্ব দেওয়া হল মানস ভুঁইয়াকে৷ শিল্প বাণিজ্যের সঙ্গে শিল্প পুর্গঠন দফতরের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে৷