কেন্দ্রের নির্দেশ এলো ইউক্রেনবাসীদের ফেরানোর জন্য

বেজেছে যুদ্ধের দামামা৷ সবার আশঙ্কা সত্যি করে ঘোষণা হওয়ার সাথে সাথেই শুরু হলো সামরিক অভিযান৷ রাশিয়ার তরফে ইউক্রেনে মিলিটারি অপারেশন শুরু করেছে৷ বন্ধ হয়েছে যাত্রীবাহী বিমানের ওঠানামা৷ ইউক্রেনের আকাশে রুশ যুদ্ধ বিমানের গর্জন৷ এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের নিয়ে উদ্বেগে নয়াদিল্লি৷ ইউক্রেনের চার প্রতিবেশী দেশ হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়ার সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতীয়দের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে ভারত৷ 

এ প্রসঙ্গে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী বলেন, ‘‘ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরাতে হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়ায় যাবে বিদেশ মন্ত্রকের চারটি দল।’’ টুইটে তিনি আরও জানান, ‘স্থলপথে ইউক্রেন সংলগ্ন হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড, স্লোভাকিয়া এবং রোমানিয়ার সীমান্তে নির্দিষ্ট পয়েন্টে পৌঁছনোর পর ইউক্রেনের আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকরা এই দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন।’ কারণ ইউক্রেন থেকে সরাসরি বিমানে ফেরার উপায় আপাতত নেই৷ 

উল্লখ্য, বৃহস্পতিবার ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করতে গিয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমান ‘এআই ১৯৪৭’৷ কিন্তু যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মাঝ আকাশ থেকেই ফিরতে হয় সেটিকে। সীমান্ত লাগোয়া ‘এয়ার স্পেস’ দিতে অসম্মত হয় যুযুধান দু’দেশই। প্রসঙ্গত, ইউক্রেন আগেই তাদের আকাশসীমা ‘সিল’ করার কথা ঘোষণা করেছে। এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেন থেকে ভারতীয়দের উদ্ধার করার একমাত্র উপায় প্রতিবেশী দেশের স্থলসীমান্ত৷ ইউক্রেন থেকে বেরিয়ে আসার পর ওই চার দেশ থেকে ভারতীয়দের বিমানে করে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি৷ 

এদিকেএ ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হতেই গত সপ্তাহে ইউক্রেনস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সে দেশে পড়াশোনা করা ভারতীয় পড়ুয়াদের দেশে ফেরার ‘পরামর্শ’ জারি করেছিল। শুক্রবার নয়া নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়৷ সেখানে বলা হয়, দেশে ফেরানোর ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে ইউক্রেনবাসী ভারতীয় পড়ুয়ারা। প্রসঙ্গত, ফি বছর ভারত থেকে বহু পড়ুয়া ইউক্রেনে পড়াশোনা করতে যায়। বিশেষত ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়ার দিকে ঝোঁক রয়েছে ভারতীয় পড়ুয়াদের। কিছু পড়ুয়া দেশে ফিরলেও, সেখানে আটকে রয়েছে অধিকাংশ৷  অসমর্থিত সূত্রের খবর, সব মিলিয়ে এখনও প্রায় ১৮ হাজার ভারতীয় ইউক্রেনে রয়েছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *