খারিজ হলো জামিনের আবেদন, আরও চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ আদালতে তরফে

আদতে লাভ হলো না কোনো কিছুই, শারীরিক অসুস্থতার দোহাইও কাজে দিল না। এর আগেও তিনি অসুস্থ, এই দোহাই দিয়েই প্রতিবার হাজিরা এড়িয়েছেন৷ তবে এবার আরো চাপের মধ্যে পড়লো কেষ্ট। বহু টানাপোড়েনের পর অবশেষে গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মণ্ডলকে আরও চার দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

এদিন শুরুতেই তাঁর আইনজীবী জামিনের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সিবিআই তার বিরোধিতা করে। অনুব্রত নিজেও শারীরিক অসুস্থতার কথা আদালতে জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোনও লাভ হয়নি। সিবিআইয়ের আর্জিই মান্যতা পেয়েছে বিচারকের কাছে। তবে অসুস্থতা নিয়ে বিচারকের সঙ্গে কথা হয়েছে তৃণমূল নেতার।

সূত্রের খবর, আদালতে অনুব্রত মণ্ডল বিচারককে জানান, তিনি সব সময়ে অসুস্থ থাকেন। শরীর বরাবর অসুস্থ। কাল জ্বর, কাশি ছিল। এই কথা শুনে বিচারক তাঁকে পাল্টা প্রশ্ন করেন, চিকিৎসকরা তাঁকে ভালো করে দেখছেন কিনা। বিচারক বলেন, অসুবিধা হলে চিকিৎসককে বলতে দ্বিধা বোধ না করতে।

এই প্রেক্ষিতেই অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী তাঁর জামিন চান। কিন্তু আদালত তা মঞ্জুর করেনি। আসলে তাঁর সম্পত্তি নিয়ে চর্চা নতুন করে শুরু হয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ ছিল গরু পাচার কাণ্ডে ধৃত এনামূল হকের। কিন্তু এই বিষয়টি মানতে নারাজ অনুব্রতর আইনজীবী।

তাঁর বক্তব্য, এমন কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি। সিবিআই স্পষ্ট দাবি করেই আদালতে বলেছে, ব্যবসা কারোর একার নয়, এটা একটা চক্র ছিল। মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা ছিল অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীর। এমনই দাবি তাঁদের। এখন তাঁরা আবার তৃণমূল নেতাকে নিজেদের হেফাজতে পেল। জিজ্ঞাসাবাদে আরও বেশ কিছু তথ্য বেরিয়ে আসবে বলেই অনুমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *