রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধির উপসর্গ

বর্তমানে অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস, ডায়েটে প্রক্রিয়াজাত খাবারের আধিক্য রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার কারণ। চিকিৎসার পরিভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় ‘হাইপারইউরিসেমিয়া’। এই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রাবৃদ্ধি গাঁটে গাঁটে যন্ত্রণা হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ। হাড় এবং কিডনির উপরেই ইউরিক  অ্যাসিড বেশি প্রভাব পরে। এই সমস্যা এড়ানো সম্ভব খাওয়াদাওয়ায় একটু পরিবর্তন করেই । তবে ইউরিক অ্যাসিডের লক্ষণ সম্পর্কে অনেকেরই তেমন ওয়াকিবহাল নয় । রক্ত পরীক্ষা করানোর আগেই এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন কি না তা বোঝা যাবে খূব সহজেই।

রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে খুব ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। এর কারণ, কিডনি চায় শরীরে মজুত অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বার করে দিতে। তবে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে রক্তপাতও হতে পারে । এ ছাড়া, ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনও হতে পারে ।

শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে পিঠের নীচের দিকে, তলপেটে বা কুঁচকিতে ব্যথাও হতে পারে। তাই এরূপ উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হওয়া দরকার। রাতে ঘুমোনোর সময় যদি পায়ের পাতায় তীব্র যন্ত্রণা বা হালকা জ্বালাভাব হয়, তাহলেও সতর্ক হওয়া অবশ্যই প্রয়োজন। যন্ত্রণার কারণে রাতে ঘুমের ব্যাঘাতও ঘটে । এগুলোও  রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে। এ ছাড়া রুক্ষ ত্বক, সারাক্ষণ ক্লান্তি ভাব, বমি বমি ভাব, বার বার ঢেকুর ওঠা কিংবা পেশিতে ঘন ঘন ক্র্যাম্প ধরাও শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির উপসর্গ হতে পারে।