সমীক্ষার দাবী সংক্রমন আক্রান্তদের বাড়ছে চিন্তার কারণ

বিগত দু বছরের বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্ব তান্ডব চালিয়েছে করোনা সংক্রমণ। গত দুই বছর ধরে করোনা সংক্রমণের সঙ্গে বাস করতে হচ্ছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে করোনা সংক্রমণ ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছে। যদিও গত কয়েকদিনে দেশে করোনার গ্রাফ বাড়তে শুরু করেছে। মূলত দিল্লিতে করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করেছে। তবে করোনা আগের মতো মারাত্মক প্রভাব নিয়ে না এলেও চিকিৎসকরা করোনা থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মার্কিন চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরেও ১২ ধরনের রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। যার জেরে হাসপাতালেও ছুটতে হচ্ছে বার বার। সময় মতো চিকিৎসা না করালে মৃত্যুও হতে পারে৷

গত দুই বছরে লক্ষ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সেই করোনা আক্রান্ত রোগীদের ওপর একদল মার্কিন গবেষক সমীক্ষা চালায়। দেখা গিয়েছে, করোনা মুক্ত হলেও একাধিক রোগের উপসর্গ নতুন করে আক্রান্তদের শরীরে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। তারমধ্যে বেশ কিছু গুরুতর রোগ রয়েছে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে অনেকে টাইপ টু ডায়াবেটিসের মতো রোগে আক্রান্ত হয়েছেন। মার্কিন সমীক্ষায় বলা হয়েছে, গত বছর যাঁরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন, তাঁদের পরবর্তী এক বছরের মধ্যে স্বাস্থ্যের গুরুতর সমস্যার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এমনকী করোনায় আক্রান্ত যে সব ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি, তাঁদের মধ্যেও একাধিক রোগের উপসর্গ দেখা দিচ্ছে।

মর্কিন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত হওয়ার ১২ মাসের মধ্যে টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৪৬ শতাংশ বেড়ে যায়। পাশাপাশি হৃদরোগে আক্রান্ত, অনিয়মিত পালস রেট, রক্ত জমাট বাঁধার মতো রোগের প্রবণতা বেড়ে যায়। ঠিক সময়ে চিকিৎসা না করালে রক্ত জমাটের ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শিরা বা ধমনীতে রক্ত জমাট বাঁধলে গুরুতর আকার ধারণ করে।অনেক ক্ষেত্রে ফুসফুস বা হৃৎপিণ্ডে রক্ত জমাটের ঘটনা দেখা গিয়েছে।  

মার্কিন গবেষকরা প্রায় ১.১ কোটি মানুষের ওপর এই সমীক্ষা করেছেন। দেখা গিয়েছে করোনা থেকে সেরে ওঠা ব্যক্তিদের হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি প্রায় ৭২ শতাংশ বেড়ে যায়। অন্যদিকে, গবেষকরা দেখেছেন, যে সমস্ত করোনা আক্রান্তত রোগী সেরে ওঠার নির্দিষ্ট সময় পর ভ্যাকসিন নিয়েছেন। তাঁদের ক্ষেত্রে সমস্ত ঝুঁকি ২০ শতাংশ কমে যায়। করোনা থেকে মুক্তির জন্য গবেষকরা ভ্যাকসিনের ওপরই জোর দিচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *