নতুন বাজেটের বিরুদ্ধে সুজন

চলতি সপ্তাহেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের তরফে ঘোষিত হয়েছে বছরের নতুন বাজেট। কিন্তু নতুন বাজেট ঘোষনা থেকেই অখুশি অনেকেই। লোকসভাতে এক ঘণ্টা ৩১ মিনিটের মধ্যে এই অর্থবর্ষের বাজেট ভাষণ শেষ করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। বহু প্রশ্নের উত্তর নেই তাতে। অধরা বেশ কিছু প্রত্যাশিত বিষয়। এহেন বাজেট শেষ হওয়ার পরপরই তীব্র প্রতিক্রিয়া দিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী। বাজেট এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি জানান, এই বাজেটে আদানি আম্বানি হাতকে শক্ত করতে চেয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এয়ার ইন্ডিয়ার মতনই একের পর এক কেন্দ্রীয় সম্পত্তি গুলোকে বেসরকারিকরণ করে দেওয়া হচ্ছে। এলআইসি কি বিক্রি করার চিন্তা ভাবনা করছে কেন্দ্র সরকার। প্রকৃত অর্থে এই বাজেট ‘জনবিরোধী বাজেট’। বর্ষীয়ান নেতা সুজন চক্রবর্তী তিনি বলেন, এই বাজেটে মানুষের বিরুদ্ধে নিষ্ঠুরতার বাজেট। যে সকল ব্যক্তি তাদের কর ফাঁকি দিচ্ছে সেই সকল ব্যক্তিদের আরও উৎসাহিত করার জন্য এই বাজেট করা হয়েছে।

দু’বছর ধরে দেশে করোনা মহামারীতে যেখানে দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষজনদের সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠে আসছে৷ সেই পরিস্থিতিতে এই বাজেটে খাদ্য, সার, পেট্রোপণ্যের উপর মহার্ঘভাতা না বাড়িয়ে অফুরন্ত কমিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও তিনি আরও বলেন, ‘‘করোনা মহামারীতে যে ক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে কেন্দ্র সরকারের উচিত ছিল দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষের পাশে দাঁড়ানো। বাজেটে সুস্পষ্টভাবে সেই সকল বিষয়গুলিকে কার্যত বঞ্চনা করা হয়েছে। ২২ বাজেটে ক্রিপ্টোকারেন্সি ওপর বেশি জোর দেয়া হয়েছে।’’

ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে কার্যত কটাক্ষ করে সুজন চক্রবর্তী বলেন সরকার ‘ফাটকাতে’ বেশি বিশ্বাস করে। ক্রিপ্টোকারেন্সি এর কোনও ভবিষ্যত নেই৷ বলেছে বহু অর্থনৈতিক ভিত্তি। সেক্ষেত্রে কেন ভারতবর্ষের মতন দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বেশি বিশ্বাস করছে। এই বাজেট থেকে বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়েছে। এই বাজেটে বেশিরভাগই অর্থ ব্যয় করা হবে৷ প্রতিরক্ষা খাতে এমনটাই উল্লেখ করা হয়েছে। আবারও কি! ভারতবর্ষে রাজনীতি যুদ্ধ যুদ্ধ খেলাতে মাতবে।

কেন্দ্র সরকার বলেছিল ক্ষমতায় আসার পর প্রতি বছর কোটি মানুষের চাকরি হবে কিন্তু বাজেটে ৬০ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছে। দু’কোটি থেকে ৬০ লক্ষ্যে কি করে নেমে এলো কর্মসংস্থান? এছাড়া তিনি আরও জানান, ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা কমানো হয়েছে এই বাজেটে দারিদ্র সীমার নিচে থাকা মানুষকে কার্যত পেটে মারার চক্রান্ত এই বাজেট। এই বাজেটে সুবিধা ভোগ করবে আদানি আম্বানিরা৷ সাধারন জনগন এই বাজেটের সুবিধার আওতায় পড়বে না। এই বাজেট জনবিরোধী এক বাজেট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *