আচমকাই নিজের পদে পদত্যাগ দিলেন মন্ত্রী। ছিলনা কোনো পূর্বাভাস। গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনে এল বড় খবর। গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বিজয় রূপানি। উনি রাজ্যের রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নিজের ইস্তফাপত্র দিয়েছেন। একটি প্রেস কনফারেন্স করে তিনি তাঁর পদত্যাগ করার কথা জানান। তিনি বলেন, বিজেপির ট্র্যাডিশন অনুযায়ী দলের অন্যান্য জনকে সমান জায়গা করে দিতেই তিনি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। যদিও তিনি দলের সঙ্গেই থাকছেন বলে জানান। তিনি বলেন, “আমায় ভবিষ্যতে দলের সঙ্গেই থাকব। দল যদি আমাকে কোনও নতুন দায়িত্ব দেয়, তবে তা সানন্দে গ্রহণ করব। দীর্ঘদিন ধরেই বিজয় রুপানির পদত্যাগের খবর ঘুরপাক খাচ্ছিল রাজনৈতিক মহলে। ওনার ইস্তফার পর রাজ্যের রাজনৈতিক ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়েছে। কেন হঠাৎ করে ইস্তফা দিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে৷
তাঁর উত্তরসূরি কে হবেন, তা নিয়েও জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে৷ ২০১৬ সালে মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন আনন্দীবেন প্যাটেল৷ এর পরেই গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন বিজয় রূপানি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহর ঘনিষ্ঠ হিসাবেই তিনি পরিচিত। তাঁর নেতৃত্বেই ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে লড়ে বিজেপি। লড়াই কঠিন ছিল৷ তবে রাজ্যে ফের ক্ষমতায় ফেরে গেরুয়া শিবির। এবং মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বিজয় রূপানিকেই বেছে নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, এই নিয়ে গত দু’মাসে তিন বিজেপি শাসিত রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বদল হল৷ প্রথমে কর্ণাটক এবং উত্তরাখণ্ড৷ আর এবার প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী বদলের সিদ্ধান্ত নিল গেরুয়া শিবির৷ যা নিশ্চিত ভাবেই বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।
প্রসঙ্গত, গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছর বাকি। এরই মধ্যে শীর্ষস্থানীয় রাজনীতিকের পদত্যাগের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বলাবাহুল্য, মুখ্যমন্ত্রীর ইস্তফা দেওয়ার ঘটনায় বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তাঁর ক্যাবিনেট। বর্তমানে মন্ত্রিসভার কাছে তিনটি পথ রয়েছে। এক, নয়া মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত করে তাঁর অধীনে নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা। দুই, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা। তিন, নির্ধারিত সময়ের আগেই বিধানসভা নির্বাচনের ঘোষণা করা।