চলতে থাকা বিক্ষোবের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ। সংসদ চত্বরে শব্দ বিতর্ক নিয়ে এই মুহূর্তে কার্যত দ্বিধাবিভক্ত গোটা দেশ। সম্প্রতি শোনা গিয়েছে, সংসদে বেশ কিছু শব্দ নাকি বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও স্পিকারের দাবি, এখনো পর্যন্ত এই ধরনের কোনো নির্দেশই নাকি দেওয়া হয়নি। এরমধ্যেই সামনে এল আরও একটি নতুন নির্দেশ।
জানা যাচ্ছে, আসন্ন বাদল অধিবেশন থেকে সংসদ চত্বরে আর কোনও ধরনের বিক্ষোভ ধরনা কিংবা বিক্ষোভ, অনশন করা যাবে না। এরপর থেকে যে কোনো রকমের বিক্ষোভ, বিদ্রোহ নিষিদ্ধ সংসদ চত্বরে। সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এমনটাই জানিয়েছে রাজ্যসভার সচিবালয়।
যেখানে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে এরপর থেকে সংসদের কোন সদস্যই সংসদ চত্বরে ধর্না, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অনশন কিংবা কোনও ধর্মীয় আচার পালন করতে পারবেন না। অন্যদিকে এই বিজ্ঞপ্তির কথা প্রকাশ্যে আসতেই ফের নতুন করে মাথাচাড়া দিয়েছে বিতর্ক। নয়া এই ফরমানের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে সরব হয়েছেন বিরোধীপক্ষ।
রাজ্যসভার সচিব পি সি মুদি এক বিজ্ঞপ্তিতে সাংসদদের জানিয়েছেন, কোনও সদস্য আর সংসদ চত্বরে ধর্না, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, অনশন বা কোনওরকম ধর্মীয় আচার পালন করতে পারবেন না। এক্ষেত্রে সব সদস্যের সহযোগিতা কামনা করা হচ্ছে।
এতদিন পর্যন্ত সরকারের যে কোনো নীতির প্রতিবাদে সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে কিংবা সংসদের মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভ, প্রতিবাদ প্রদর্শন করতেন সংসদের সদস্যরা। এনআরসি থেকে কৃষি বিল কেন্দ্রের নেওয়া একের পর এক বিতর্কিত একাধিক পদক্ষেপের বিরোধিতায় সংসদ ভবনের এই গান্ধী মূর্তির পাদদেশেই প্রতিবাদ দেখিয়ে এসেছেন কংগ্রেস থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সমস্ত বিরোধীদলগুলিই।
কিন্তু আজকের এই বিজ্ঞপ্তির পর সাংসদরা সেই সুযোগ হারালেন। অন্যদিকে গতকালই প্রকাশ্যে এসেছে সংসদে ভাষায় লাগাম টানার নিষেধাজ্ঞাও। সবে মিলে বিরোধীদের দাবি, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে বিরোধী দলগুলির কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে।
এদিকে আর মাত্র কয়েক দিন পরেই সংসদে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন। সাধারণত জুলাই মাসের মধ্যভাগ থেকেই এই অধিবেশন শুরু হয়। ইতিমধ্যেই এই অধিবেশনে একাধিক ইস্যু নিয়ে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিরোধী শিবির। কিন্তু তার আগেই একের পর এক নিষেধাজ্ঞার বিজ্ঞপ্তি সামনে আসায় ইতিমধ্যেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।