ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছে দেশ৷ দীর্ঘ কোভিড পর্ব কাটিয়ে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জীবন৷ কোভিড বিধি মেনে আগের মতোই স্বাভাবিক অফিস-কাছারি, স্কুল৷ দুই বছর ঘরে বন্দি থাকার পর ফের স্কুল মুখো পড়ুয়ারা৷ ইতিমধ্যে পড়ুয়াদের জন্য একাধিক নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে৷ এবার শিক্ষকদের জন্য এল কড়া নির্দেশ৷ নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে সকাল ১১টা বেজে ৫ মিনিটের পর স্কুলে পৌঁছলে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে ‘অনুপস্থিত’ বলে ধরা হবে। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটের পর এলে অর্ধদিবসের বেতন পাবেন শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে ২২ দফা আচরণবিধি জারি করা হয়েছে৷ যার শুরুতেই উপস্থিতি সংক্রান্ত কড়াকড়ির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আগের নির্দেশ বজায় রেখে নয়া নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, স্কুলের শিক্ষকরা প্রাইভেট টিউশন বা অন্য কোনও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারবেন না। বিকেল সাড়ে চারটের আগে কেউ স্কুল থেকে বেরতে পারবেন না। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আমলে যে আচরণবিধিটি তৈরি করা হয়েছিল, তার সঙ্গে নতুন কিছু ধারা যোগ করে স্কুলগুলিতে নয়া নির্দেশিকা পাঠিয়েছে পর্ষদ।
সম্প্রতি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, এবার থেকে পড়ুয়ারা স্কুলে মোবাইল ফোন বা স্মার্টফোন নিয়ে আসতে পারবেন না৷ ক্লাসরুমে শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও বিধিনিধেষ জারি করা হয়৷ বলা হয়, শিক্ষকরা ক্লাসরুম ও ল্যাবরেটরির ভিতরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না। যদি কোনও কারণে ক্লাস বা ল্যাবরেটরির মধ্যে শিক্ষকদের মোবাইল ফোন ব্যবহারের করতে হয়, তবে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে৷ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মোবাইল বা স্মার্টফোনের পাশাপাশি ক্লাসরুমে কোনও রকম ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না।
এছাড়াও নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে- ১) ছাত্রছাত্রীদের উপর কোনও রকম শারীরিক বা মানসিক নির্যাতন করা যাবে না৷
২) শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের প্রজাতন্ত্র দিবস, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে অবশ্যই অংশ নিতে হবে।
৩) স্কুলের চৌহদ্দির মধ্যে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না পড়ুয়ারা। শিক্ষকরাও শ্রেণিকক্ষে মোবাইল, হেডফোন বা ব্লুটুথ ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না।
৪) ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির তৃতীয় সামেটিভ পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরেও ক্লাস নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৫) শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা টিউশন পড়ানো, টাকা ধার দেওয়া বা কোনও ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারবেন না।
৬) স্কুল ক্যাম্পাসের মধ্যে ধূমপান, গুটখা এবং পান খাওয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।