‘ক্লোজিং দ্য কেয়ার গ্যাপ’- এটাই হল এই বছরের বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের থিম। তাঁর সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এক কেয়ারগিভার হিসেবে মেডিকার লক্ষ্য হল চিকিৎসার ক্ষেত্রে যাবতীয় ব্যবধান বন্ধ করার জন্য কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।যাদের ক্যান্সারের চিকিৎসার প্রয়োজন তারা নানারকম বাধার সম্মুখীন হন। এক দায়িত্বশীল পরিষেবা প্রদানকারী হিসেবে পূর্ব-ভারতের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল স্বাস্থ্যসেবা গোষ্ঠী মেডিকা কলকাতায় একটি বিশ্বমানের ক্যান্সার চিকিত্সা কেন্দ্র স্থাপন করতে চলেছে। মেডিকা ক্যান্সার হসপিটাল তাদের ক্যান্সার চিকিৎসার অঙ্গ হিসেবে ক্যান্সার থেকে রক্ষা পাওয়া (ONCO survivors) রোগীদের ক্ষমতায়নকেও তাদের ‘ক্যান্সার কেয়ার’ কর্মসূচিতে জুড়ে নিয়েছে।
বিশ্ব ক্যান্সার দিবসের প্রাক্কালে, মেডিকা ক্যান্সার হাসপাতাল তার প্রথম তিনজন ক্যান্সারমুক্ত রোগীদের সামনে নিয়ে এসেছে, যারা মেডিকার কর্মীবাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। তারা হলেন – রিমা রায় (৪৬), সুরজিৎ মৃধা (৩৮) ও বিমল সাহা (৪৩)। এরা বাস্তব-জীবনের নায়ক যারা ক্যান্সারের সাথে লড়াই করেছেন, সামাজিক চাপ ও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা-সহ সমস্ত বাধা জয় করেছেন এবং এখনও লড়াই থেকে সরে যান নি। মেডিকা সর্বদা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বাস করে। আর সেই কারণে মেডিকা নিয়ে এসেছে ডা ভিঞ্চি শি সিস্টেম (Da Vinci Xi System) যা এখন সার্জনদের অস্ত্রোপচারের কাজ অনেক সহজ করে দেবে।
এফআইসিসিআই হেলথ সার্ভিসেস কমিটির সদস্য এবং মেডিকা গ্রুপ অফ হসপিটালসের চেয়ারম্যান ডাঃ অলোক রায় বলেন, মেডিকাতে তাদের ক্লিনিক্যাল টিম ক্যান্সার রোগীদের চিকিত্সার ক্ষেত্রে এক বিশাল পরিবর্তন আনতে চলেছে এবং তা প্রতিফলিত হবে প্রতিদিনের কাজকর্মে। মেডিকা ক্যান্সার হসপিটালের ডিরেক্টর ডাঃ সৌরভ দত্ত বলেন, ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া রোগীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাজ করার উপযুক্ত। ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য অবশ্যই এই রোগীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যাগুলির সমাধান করতে হবে। এক্ষেত্রে সেরা বিকল্প হল তাদের কাজে নিযুক্ত করা। মেডিকা ক্যান্সার হসপিটালে এই বেঁচে থাকা ব্যক্তিরা অন্যান্য রোগীদের সাথে সংযোগ রক্ষা করবে এবং সেই রোগীদের ও তাদের পরিবারকে উত্সাহ জোগাবে।