সদ্য ডার্বি জিতেছেন। এমন মধুর জয়ের পর কোথায় খুশিতে উৎফুল্ল থাকবেন, তা নয় উলটে চিন্তায় ডুবে মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ জুয়ান ফেরান্দো। চিন্তার কারণ ডুরান্ড কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার সাপ লুডোর অঙ্ক।
ডার্বি জিতে সাময়িক স্বস্তি এসেছে বটে, কিন্তু বুধবার ইন্ডিয়ান নেভির বিরুদ্ধে ম্যাচ মোহনবাগানের কার্যত ‘ডু অর ডাই’ পরিস্থিতি। ডুরান্ডের শেষ আটে জায়গা পাকা করতে গেলে নেভির বিরুদ্ধে জিততেই হবে জনি কাউকোদের। শুধু তাই নয়, তাকিয়ে থাকতে হবে রাজস্থান ইউনাইটেডের পয়েন্ট নষ্টের দিকেও। এই জটিল অঙ্কের হিসেব নিকেশ ফেরান্দোর চিন্তা আরও বাড়িয়েছে নেভি ম্যাচে দলের আক্রমণভাগের মুখ হুগো বুমোসের না থাকা। কার্ড সমস্যায় খেলতে পারবেন না হুগো।
তাহলে নেভির বিরুদ্ধে আপফ্রন্টে লিস্টন কোলাসোর সঙ্গী কে? ফেরান্দোর হাতে অপশন হিসেবে রয়েছেন মনবীর সিং , কিয়ান নাসিরি, ফারদিন আলি মোল্লার মতো প্লেয়ার। তবে যিনি হলে সবচেয়ে খুশি হত সবুজ-মেরুন জনতা সেই অজি অ্যাটাকার দিমিত্রি পেত্রাতোস মঙ্গলবারই পা রাখলেন শহরে। দুপুরে সপরিবারে কলকাতায় এসে বিকেলে ক্লাবের মাঠে দলের অনুশীলন দেখতে হাজির হন অজি তারকা।
দিমিত্রির আগমনের মধ্যেও ফেরান্দোর ভাবনায় বুধবারের নেভি ম্যাচ। তিনি বলেন, “৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আবার একটা ম্যাচ খেলতে হবে। এমন আর্দ্রতার মধ্যে এত কম সময়ের ব্যবধানে খেলাটা খুব সমস্যার। তবে আমার হাতে ২৫ জন প্লেয়ার আছে, তারা দলকে সাহায্য করতে প্রস্তুত। কাউকো, পোগবা, লিস্টনের মতো কিয়ান, ফারদিন, আর্শ, অভিষেকও সমান গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচ থেকে আমাদের তিন পয়েন্ট পেতেই হবে। তাহলেই শেষ আটের অঙ্ক নিয়ে ভাবার সুযোগ থাকবে।” ডার্বি জিতলেও দলের খেলায় মন ভরেনি সমর্থকদের। সেটা বুঝতে পেরেছেন ফেরান্দো। তাই বলেছেন, ‘‘ডার্বি জিতলেও দল তৈরির কাজ এখনও বাকি। তা চলবে। প্রতিদিন আরও উন্নতি না করলে সাফল্য ধরে রাখা কঠিন।”