কিঞ্চিৎ স্বস্তি মিলল রাজ্যের করোনা সংক্রমণের গ্রাফে

একটু যেন স্বস্তি মিলল রাজ্যের বাড়তে থাকা করোনা গ্রাফ থেকে। বাড়াবাড়ি রকমের সংক্রমণ বেড়েছিল বঙ্গে এবং তার জন্যই কড়া বিধিনিষেধ লাগু করা হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে কিঞ্চিত স্বস্তি কারণ আক্রান্তের সংখ্যা আপাতত নিম্নমুখী হয়েছে। গত বছরের শেষে লাগামছাড়া ভিড় দেখা গিয়েছে সব জায়গায়। আর কলকাতার সংক্রমণও বিরাট বৃদ্ধি পেয়েছিল তাই আশঙ্কা এখনই চলে যাচ্ছে না। তবে আজ বাংলার কোভিড গ্রাফ কিছুটা নীচের দিকেই।

শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে আজ আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার ৩৮৫ জন এবং এই একই সময় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের। কলকাতায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ১ হাজার ৮৭৯ জন। সংক্রমণের নিরিখে তারপরেই রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা। সেখানে আক্রান্ত ১ হাজার ৮৬৩ জন। ফলে গোটা রাজ্য জুড়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৯ লক্ষ ০৭ হাজার ০৮৪ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ২০ হাজার ১২১ জনের। আজ বঙ্গের পজিটিভিটি রেট ২৬.৪৩ শতাংশ। অন্যদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১১ হাজার ০৩৪ জন। এখনও পর্যন্ত করোনামুক্ত বাংলার ১৭ লক্ষ ২৮ হাজার ৩৪০ জন। সুস্থতার হার ৯০.৬৩ শতাংশ ও মৃত্যু হার ১.০৬ শতাংশ।

এদিকে ব্রিস্টল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণা বিভিন্ন পরিবেশে ভাইরাসের আয়ু সম্পর্কে আলোকপাত করেছে! গবেষণায় জানা যায়, বদ্ধ পরিবেশে বাড়ে কোভিড সংক্রমণের আশঙ্কা। শৌচালয়ে কোভিড আক্রান্ত ব্যক্তি স্নানঘর ব্যবহার করলে তার পর প্রায় কুড়ি মিনিট সেই পরিবেশে থেকে যেতে পারে ভাইরাস। অফিসের পরিবেশে যেখানে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৪০  শতাংশের কাছাকাছি, সেখানে মাত্র ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই সংক্রমণ ক্ষমতা অর্ধেক কমে যায় ভাইরাসের। গবেষকরা আরও জানান, আর্দ্র পরিবেশে সংক্রমণ ঝড়ের গতিতে ছড়ায়। বাথরুমের বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ থাকে ৯০ শতাংশের মতো। এই পরিবেশে পাঁচ মিনিট পরেও বাতাসে সংক্রমণযোগ্য থাকে অর্ধেক কোভিড অনু। কুড়ি মিনিট পর সংক্রমণ যোগ্য ভাইরাসের সংখ্যা কমে হয় প্রায় ১০ শতাংশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *