সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দিল্লির উপকণ্ঠে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের হিন্ডন বিমান ঘাঁটিতে শেখ হাসিনার বিমানটি নেমে আসে। প্রবল জনপ্রতিরোধের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন বাংলাদেশের নতুন প্রধানমন্ত্রী। তবে হাসিনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ভারত আগেই প্রস্তুত ছিল। জানা গেছে, ভারতীয় বিমান বাহিনীর (আইএএফ) রাডারগুলো সার্বক্ষণিক বাংলাদেশের আকাশের ওপর কড়া নজর রাখছিল, রাতভর চলতে থাকে নজরদারি। সন্ধ্যা নাগাদ বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর সি-১৩০ বিমান অ্যাজাক্স ১৪১৩ হাসিনা ও তার বোন রেহানাকে নিয়ে গাজিয়াবাদে পৌঁছায়। সূত্র অনুসারে, হাসিনার বিমানের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারা বিমান ঘাঁটি থেকে ১০১ স্কোয়াড্রনের দুটি রাফালে যুদ্ধবিমান বিহার ও ঝাড়খণ্ডের আকাশে উড়েছিল। সেনা ও বিমান বাহিনী প্রধানরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছিলেন।
সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, হাসিনার ভারতে আগমন ইস্যুতে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক হয়েছে। হিন্ডন বিমান বাহিনী ঘাঁটিতে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানায়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়েও তাদের দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। প্রসঙ্গত, হিন্ডন এয়ারবেস এশিয়ার বৃহত্তম। বিমান বাহিনীর ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ড এই বিমানঘাঁটির তদারকি করে। একটি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি কার্গো বিমানে গাজিয়াবাদে প্রবেশ করেন হাসিনা। বোন শেখ রেহানা ও কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তার সঙ্গে ছিলেন।
গণবিক্ষোভের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছাড়াই নয়, সোমবার বিকেলে শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশ ছাড়তে হয়। দুপুরে বোন রেহানাকে নিয়ে ঢাকার বাসা থেকে বের হন তিনি। হেলিকপ্টারে করে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। একজন এয়ার কমান্ডার আব্বাস বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর কপ্টারটি উড়িয়েছেন। কিছুক্ষণ পর জানা যায় হাসিনার বিমান ভারতে আসছে। প্রাথমিকভাবে জল্পনা ছিল, দিল্লি বিমানবন্দরে প্রবেশর সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও এটি রাজধানী গাজিয়াবাদের কাছে বিমান বাহিনীর ঘাঁটিতে অবতরণ করে।