দীর্ঘ দিনের চলতে থেকে মামলা থেকে মুক্তি পেলো শশী

অবশেষে শেষ হলো দীর্ঘ সাত বছরের টানা পোড়েন। মুক্তি এলো দীর্ঘদিনের চলতে থাকা মামলা থেকে। সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু মামলায় মুক্তি পেলো স্বস্তি শশী থারুর। বেকসুর খালাশ করল দিল্লির আদালত। বুধবার ওই মামলার সমস্ত অভিযোগ থেকে মুক্ত করেছে তাঁকে। সুনন্দা পুষ্কর হত্যা মামলায় এতদিন জামিনে মুক্ত ছিলেন কংগ্রেস সাংসদ শশী। স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু মামলায় নারী নির্যাতন এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে মামলা রুজু হয় শশী থারুরের বিরুদ্ধে। এত বছর পর স্ত্রীর মৃত্যু মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে খুশি সংসদে বাগ্মী হিসাবে পরিচিত তারুর। আদালতের রায়ের পর তিনি বলেছেন, ‘‘আদালতকে ধন্যবাদ। সাড়ে সাত বছর ধরে চরম নির্যাতন চলেছে। রায়ের প্রশংসা করছি।’’

প্রসঙ্গত, দিল্লির একটি আদালত ২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির একটি অভিজাত হোটেলে উদ্ধার হয় তারুরের স্ত্রী সুনন্দার দেহ। তার পর আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তিরুঅনন্তপুরমের সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। সেই সময় মেডিক্যাল রিপোর্ট জানান দিয়েছিল সুনন্দার শরীরে মাদকের উপস্থিতি। খুনের ষড়যন্ত্রের বিষয়টি উঠে এলেও, আত্মহত্যা ধরে নিয়েই মামলা দায়ের করে পুলিশ। তারুরের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮এ(পারিবারিক হিংসা) এবং ৩০৬ (আত্মহত্যায় প্ররোচনা) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই অভিযোগগুলি থেকেই বুধবার মুক্ত হলেন তিনি।

সুনন্দা পুষ্করের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী তাঁর সারা শরীরে বিশেষ করে হাতে ও পায়ে ১৫টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। তদন্তকারীদের দাবি ছিল, স্বামীর সঙ্গে নিয়মিত অশান্তির জেরে সুনন্দা মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকেই চরম মানসিক অস্থিরতায় ভুগছিলেন। এই আবহে বিষে মৃত্যু ঘিরে স্বভাবতই সন্দেহের আঙুল গিয়ে পড়ে শশী থারুরের উফর। এর প্রেক্ষিতেই অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলার চার্জশিটে নাম যোগ হয় শশীর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *