সম্প্রতি মহানগরীর বুকে এক উত্তাল পরিস্তিতির সৃষ্টি হয়েছে আরজি করে তরুণী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায়। এই ঘটনায় তিন মাস অতিক্রান্ত! এখনও পর্যন্ত আরজিকর হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসক ধর্ষণ হত্যাকান্ডের তদন্তের গতি একেবারে তলানিতে।
চার্জশিট গঠনের পর গতকাল শিয়ালদা আদালত থেকে বেরোনোর সময় প্রিজন ভ্যান থেকেই চিৎকার করে এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত যে দাবি করেছেন তারপর থেকেই আরজিকর কান্ডে আসছে নতুন মোড়। ঘটনার মূল অভিযুক্ত দাবি করেছেন তিনি নির্দোষ। তাঁকে এই ঘটনায় ফাঁসানো হচ্ছে।
এবার এই ঘটনায় সিবিআই-এর তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফোরাম -এর সদস্যরা।
১. নিহতের এন্ডোসারভাইকাল ক্যানালে সাদা, গাঢ়, চটচটে তরলের অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। যার উল্লেখ করা হয়েছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টেও। সেই তরলের ডিএনএ টেস্টের রিপোর্ট কোথায়?
২ পরীক্ষায় নির্যাতিতার শরীরের উপরিভাগে ধৃত ব্যক্তির লালারস থাকার প্রমাণ মিলেছে। সেকথা চার্জশিটে উল্লেখ করা হলেও সাদা, গাঢ় তরলের ডিএনএ পরীক্ষার উল্লেখ নেই কেন?
৩ যে ব্লুথুথ হেডফোনের সূত্র ধরে সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। চার্জশিটে সেই ইয়ারফোনের অবস্থানের নির্দিষ্ঠ সময়সীমা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
৪ কেন সেদিন মেয়ের মৃতদেহের কাছে যেতে বাবা-মাকে ৩ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
৫. ৯ অগস্ট অটোপ্সির জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হলেও তা কেন ১৪ অগস্ট কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হল?
৬ সেদিন ইমার্জেন্সি বিল্ডিংয়ের পাঁচতলায় কি করছিলেন অভিযুক্ত? সিসি ক্যামেরায় ভোর ৪টে ০৩ মিনিটে অভিযুক্তকে দেখা গেলেও তার আগে তিনি কোথায় ছিলেন?
৭ তিলোত্তমার মা-বাবাকেই কেন এফআইআর করতে হয়েছে? কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও এফআইআর করেনি কেন?