রাত পোহালেই শ্যামা পূজো উৎসবে মেতে উঠবে গোটা রাজ্য তথা দেশবাসী আর সেই মুহূর্তে সাত সকালে ধুপগুড়ির এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের সঙ্গে ১৯ বছরের কিশোরীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায়।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী নাতিনীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের অভিযোগ। মেনে নিবেনা সমাজ, মেনে নিবেনা পরিবার তাই শেষ মেষ দুজনেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ১৯ বছরের কিশোরী এবং আনুমানিক ৬৫ বছরের বৃদ্ধ। সাতসকালে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে জলপাইগুড়ি জেলার ধুপগুড়ি পুরসভার ১ নং ওয়ার্ডে। ঘটনার প্রকাশ ধুপগুড়ি পুরসভার ১ নং চাকলা পাড়া এলাকার ৬৫ বছর বয়সী অতুল রায়, পার্শ্ববর্তী ৮ নং ওয়ার্ডের বাবলু রায়ের কন্যা বছর উনিশের কিশোরী বুল্টি রায়।
অভিযোগ, বেশ কিছুদিন আগে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে ১৯ বছরের কিশোরীর বলে পরিবার সূত্রে জানা যায়। গত দুইদিন আগে অতুল রায় এর সাথে ভালবাসার টানে মেয়েটি বৃদ্ধের বাড়িতে চলে আসে অভিযোগ। এবং দুদিন নিখোঁজের পর অবশেষে আজ সাত সকালে অতুল রায়ের বাড়ির উঠানের মধ্যে সুপারি গাছে দুজনে ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তার পুত্র। ঘটনা চাউড় হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। খবর দেওয়া হয় ধুপগুড়ি থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ দুটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যান। তবে কি কারনে দুজনে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন তা কিন্তু এখনো অজানা। তবে প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা মনে করছেন সমাজ এবং পরিবারের আত্মসম্মানের কারনেই তারা এ ধরনের পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা।
পুরো ঘটনার তদন্তে পুলিশ। তবে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।